ঢাবি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট সোসাইটি- এই ৪টি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের স্মার্ট নেশন উপহার দিতে চাচ্ছেন। অচিরেই আমরা স্মার্ট নেশন উপহার পাব বলে উল্লেখ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মেট্রোরেল চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, মেট্রোরেল যেমন ঢাকা শহরের লাইফলাইন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশের লাইফলাইন। আজকে আমরা স্মার্ট যানবাহনের যুগে প্রবেশ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ হয়েছে। ৫০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশকে ১৩ কোটি ব্যবহারকারীর দেশে, মাত্র ৭০০ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২,৮২৪ ডলারে উন্নীত করে, শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুতায়নের দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী তার পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ।
সাদ্দাম আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল তৈরি করে শেখ হাসিনা আরেকটি বিপ্লব ঘটাবেন। মেট্রোরেলের কারণে দেশের জিডিপি বাড়বে। বদলে যাবে ঢাকা শহর। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ যেন সমুন্নত থাকে সেজন্য ছাত্রলীগের সব স্তরের নেতাকর্মীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান তার বক্তব্যে বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনে আমরা যখন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার আরেকটি অর্জন উদযাপন করছি তখন ঐ অপশক্তি, প্রেতাত্মাদের অন্তরে জ্বালা শুরু হয়েছে। সেই জ্বালার জ্বালায় তারা আগামীকাল (আজ) ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা যদি গণমিছিলের নামে গণহয়রানির চেষ্টা করে তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। যদি একটি রিকশায়, একটি গাড়িতে, একটি সরকারি স্থাপনায় কেউ হাত দেয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপনাদের সবাইকে নির্দেশনা দিচ্ছি তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করুন। যে হাত কাল ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে সেই হাত ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে ফেলবে।
এসময় আরো বক্তব্য দেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, উত্তর মহানগরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।