আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : যৌতুকের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক সন্তানের জননী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের মধুসুদন হালদারের ছেলে সুব্রত হালদার বিয়ের পর থেকে স্ত্রী, এক সন্তানের জননী সুবর্না হালদারকে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। গত বুধবার রাতে পুনরায় সুবর্নাকে পিতার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগসহ শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবার। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাতেই বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে সুবর্না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের উপপরিদর্শক আলী হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুবর্নার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী সুব্রত হালদারকে আটক করেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ সুবর্নার বাবা শ্যামল মন্ডল বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দুপুরে স্বামী সুব্রতকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম আরো জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুবর্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।