জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি : ডা. এস এ মালেকের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি

আগের সংবাদ

পল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে বিএনপি : বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের অবস্থান, রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

আইসিসির সেরা দশে তিন টাইগার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মেহেদী হাসান মিরাজের বীরত্বে সাত বছর পর পুনরায় ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে বল হাতে দুর্দান্ত টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর আইসিসি থেকে সুখবর পেলেন সাকিব। বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে ৬৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে ওঠে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মিরাজ ৬৪৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছেন তালিকার আটে। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও ২ দশমিক ৭ ইকোনমি রেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৬৪২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দশে রয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, আইসিসির ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে বাংলাদেশেরই আছেন তিনজন।
আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের ৭৫২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড, তিনে মিচেল স্টার্ক, চারে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি, পাঁচে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, ছয়ে আফগানিস্তানের রশিদ খান এবং সাতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা।
একের পর এক বিস্ময় উপহার দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতের মতো ক্রিকেট পরাশক্তিধর দলের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলে দলকে জয় উপহার দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এই তারকা অলরাউন্ডার। প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৮৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা। সেই অবস্থায় শেষ উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে দেশকে ঐতিহাসিক এক জয় উপহার দেন মিরাজ। 
মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দেখা যায় মিরাজ ঝলক। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৬৫ বলে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। ৭৭ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর নাসুম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন মিরাজ। এদিন ৮৩ বলে ৮টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ারসেরা ১০০ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই ৭ উইকেটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে অবদান রাখার পর বল হাতেও সফল মিরাজ। ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে যাওয়া শ্রেয়াস আইয়ারকে ৮২ রানে ফেরান তিনি। তার আগে ভারতীয় সহঅধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে ফেরান মিরাজ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় তারকা ওপেনার শেখর ধাওয়ানের ক্যাচও লুফে নেন। ব্যাটে-বলে এবং ফিল্ডিংয়ে এমন দারুণ নৈপুণ্য দেখানোয় খেলা শেষে মেহেদি হাসান মিরাজকেই ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ সমাপ্ত না করেই দেশে ফিরে গেলেন ভারতের তিন ক্রিকেটার। ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছেন, অধিনায়ক রোহিত শর্মা, পেসার দীপক চাহার আর কুলদীপ সেনের ওয়ানডে সিরিজ শেষ। তারা তিনজনই ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন।
রোহিত শর্মার টেস্ট খেলা নিয়েও আছে সংশয়। রাহুল দ্রাবিড় জানান, ‘রোহিত মুম্বাই ফিরে যাবে এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে চেষ্টা করবে আঙুল কী অবস্থায় আছে। সে টেস্টের আগে ফিরতে পারবে কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। এটি বলারও সময়ও আসেনি। তবে তারা তিনজনই পরের ম্যাচ খেলতে পারবে না।’
ডানহাতি পেসার চাহার বাংলাদেশের ইনিংসে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। যে কারণে ৩ ওভার পর বোলিং করতে পারেননি তিনি। আর কুলদিপের সমস্যা পিঠে। দ্বিতীয় ম্যাচের টসের সময় রোহিত বলেন, এ ম্যাচের একাদশ বিবেচনায় ছিলেন না কুলদিপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে লাগাতার দুটি সিরিজে হারতে হয়েছে ভারতকে। প্রথমে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর এবার বাংলাদেশ। কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ভারতীয় দল এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। দ্রাবিড় হারের দায় চাপিয়েছেন চোট-আঘাত ও লাগাতার তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের ওপর। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের বলেন, চোট-আঘাতের ফলে আমরা পুরো দল পাইনি। বারবার দলে বদল আনতে হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে। আশা করছি, জানুয়ারি থেকে দেশের মাটিতে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে দলের সবাইকে পেয়ে যাব। জানুয়ারি থেকে আমাদের ৯টি এক দিনের ম্যাচ খেলতে হবে। আশা করছি তার আগে পুরো দল থাকবে। বারবার ফরম্যাট বদল হওয়ার প্রভাবও দলের খেলায় পড়েছে বলে মনে করেছেন দ্রাবিড়। তিনি বলেছেন, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপ থাকায় গত দুই বছরে আমরা টি-টোয়েন্টির দিকেই বেশি নজর দিয়েছিলাম। পরের ৮-১০ মাস আমাদের একদিনের ম্যাচের ওপর বেশি নজর দিতে হবে। এভাবে বারবার ফরম্যাটে বদল হলে সমস্যা হয়।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, বাংলাদেশে যাওয়ার আগেই দলের কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন বোর্ডের কয়েকজন সদস্য ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশ থেকে ফিরলেই রোহিতদের সঙ্গে বসব আমরা। বাংলাদেশের কাছে দল যে এভাবে হারবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়