মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

কাতারকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল সেনেগাল

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে গতকাল স্বাগতিক কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। এ হারে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিকরা। সেনেগালের হয়ে একটি করে গোল করেন বোলাইয়া দিয়া, ফামারা দিদিইউ ও বাম্বা ডিইং। কাতারের একমাত্র গোলটি আসে মোহাম্মদ মুনতারির পা থেকে। সেনেগালের পরের ম্যাচ ইকুয়েডরের বিপক্ষে। এ ম্যাচ জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা

নিশ্চিত হবে কুলিবালির দলের। অন্যদিকে পরের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস জয় পেলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে কাতার।
এর আগে দুদলই হেরেছে তাদের প্রথম ম্যাচে। উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেনেগালের হার সমান ব্যবধানে। ফলে এ ম্যাচ ছিল দুদলের টিকে থাকার লড়াই। প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে প্রত্যক্ষ কোনো ধারণাই ছিল না দুই দলের কারো কাছে। কারণ এর আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি কাতার ও সেনেগাল। বিশ্বকাপ দিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে মুখোমুখি হয় তারা।
কাতারের দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বল দখল ও আক্রমণে শুরু থেকে সেনেগাল এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলই। ১৬ মিনিটে একটি হাফ চান্স পান সেনেগালের মিডফিল্ডার ক্রেপিন দিয়াতা। দুরূহ কোণ থেকে তার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মেশাল বারশাম। ২৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইদ্রিসা গেয়ির নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
৩০তম মিনিটে বিপদে পড়তে বসেছিল কাতার। সেনেগালের গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি লম্বা করে বল বাড়ান ইসমাইলা সারের উদ্দেশে। এগিয়ে গিয়ে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ঠিকমতো পারেননি বারশাম। হেডে বিপদমুক্ত করেন কাতারের এক ডিফেন্ডার। চার মিনিট পর দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন আকরাম আফিফ। তার সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক। তবে পেছনে থেকে সেনেগালের ইসমাইলা সারের বাধায় পড়ে যান তিনি। পেনাল্টির আবেদন করলেও সাড়া দেননি রেফারি।
৪১তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে কাতার। সেনেগালের দিয়াতার শটে বক্সে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ডিফেন্ডার বুয়ালেম খুউখি। আলগা বল পেয়ে শটে জালে পাঠান বোলায়ে দিয়া। ১-০ সমীকরণ নিয়ে বিরতিতে যায় সেনেগাল। বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়াতে থাকে সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর তিন মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাম্বা ডিইং। অন্যদিকে কাতার সেনেগালের গোলপোস্টে আক্রমণ বাড়ালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না।
কাতারের গোলের খরা কাটে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে। মোহাম্মদ মুনতারির গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। অন্যদিকে রক্ষণ মজবুত করার পাশাপাশি আক্রমণেও মনোযোগ দেয় সেনেগাল। যার ফল পাওয়া যায় ম্যাচের ৮৪ মিনিটে। এরপর আর কোনো দল গোল করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
এ হারে বিব্রতকর রেকর্ডের মুখোমুখি হয়েছে কাতার। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে বিদায় নেয়া স্বাগতিক দল এখন তারা। সব আসর মিলিয়ে দ্বিতীয় স্বাগতিক দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাবে কাতার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম আয়োজক দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। তবে তারা লড়াই করেছে গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়