রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

হাইকোর্টের রায় : চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না ব্যাংক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চেক ডিজঅনার হলে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাংকের মামলা করার বিধান বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের নিয়মানুযায়ী অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। গতকাল বুধবার ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের মামলায় মো. আলী নামে এক ঋণগ্রহিতাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন নি¤œ আদালত। এ সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আলী। তার সেই আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের সাজা স্থগিত করে ওই রায় দেন উচ্চ আদালত। আদালতে মো. আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল বাকী। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুজ্জামান তুহিন।
রায়ে আদালত বলেছেন, ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে ব্ল্যাংক চেক (টাকার পরিমাণ উল্লেখ না করা) নেয়া হচ্ছে সেটা জামানত।

বিনিময়যোগ্য দলিল নয়। জামানত হিসেবে রাখা সেই চেক দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে, তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে চেকের অপব্যবহার করে মামলা দেন। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো। ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেয়া বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কাজ করে আসছে। রায়ে নি¤œ আদালতের প্রতি নির্দেশনায় হাইকোর্ট বলেছেন, আজ (গতকাল) থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি চেক ডিজঅনার মামলা করে তাহলে আদালত তা সরাসরি খারিজ করে দেবেন। সেইসঙ্গে তাদের ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
ব্যাংক গরিবের রক্ত চুষছে- মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংক হওয়া উচিত গরিবের বন্ধু। কিন্তু তারা গরিবের রক্ত চুষছে। যারা হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে ব্যাংক তাদের ঋণ মওকুফ করার কথা শুনি। কিন্তু কোনো গরিবের ঋণ মওফুফ করার কথা কোনোদিন শুনিনি। নীলকর চাষিদের মতো, দাদন ব্যবসায়ীদের মতো যেনতেন ঋণ আদায় করাই তাদের লক্ষ্য। ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের না করে চেক ডিজঅনার মামলা করছে। এ কারণে আমাদের ক্রিমিনাল সিস্টেম প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। তাই এখন থেকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শুধু অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়