রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

নৌকায় ভোট দেবেন, ওয়াদা চাই : যশোরের জনসমুদ্রে শেখ হাসিনা, বিএনপির কাজই গুজব ছড়ানো, রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই

পরের সংবাদ

বদির চার ভাইসহ ১০১ ইয়াবা কারবারির দেড় বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মাদক মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের ১০১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় আসামিদের সবাইকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। এই রায় সম্পর্কে জানতে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
এর আগে সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৭ আসামিকে আদালতে আনা হয়। অন্য ৮৪ আসামি পলাতক। পলাতক আসামিদের মধ্যে অনেক জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিও রয়েছেন। যার মধ্যে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির চার ভাই আব্দুল আমিন, আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম ও ফয়সাল রহমান, ভাগ্নে সাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলমসহ বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয়।
উল্লেখিত ১৭ আসামি হলেন- নুরুল হুদা মেম্বার (৩৮), শাহ আলম (৩৫), আবদুর রহমান (৩০), ফরিদ আলম (৪২), মাহবুব আলম (৩৪), রশিদ আহমদ খুলু (৫৪), মো. তৈয়ব (৪৬) জাফর আলম (৩৭), মো. হাশেম প্রকাশ আংকু (৩৮), আবু তৈয়ব (৩১) আলী নেওয়াজ (৩১), মো. আইয়ুব (৩৫), কামাল হোসেন (২৬), নুরুল বশর ওরফে কালাভাই (৪০), আবদুল করিম ওরফে করিম মাঝি (৪০), দিল মোহাম্মদ (৩৪) এবং মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি (২৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ সৈকতের নিকটবর্তী এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেয়ার খবরে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করেন ১০২ জন। সেদিন টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭০টি গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন।
পরে আত্মসমর্পণকারীদের আসামি করে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আদালতের মাধ্যমে সব আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্ন ফারাহের আদালতে ১০১ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন এবং সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত গত ১৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এদিকে, মামলার রায়ে আসামিরা উল্লসিত। আদালত থেকে পুলিশ ভ্যানে নেয়ার পথে তাদের চোখেমুখে আনন্দের সেই আভাসই দেখা যায়। এমনকি অনেকে হাত উঁচিয়ে দর্শকদের অভিবাদনও জানায়।
আসামিদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, এডভোকেট সলিমুল মোস্তফা, এডভোকেট আমিন উদ্দিন প্রমুখ মামলা দুটি পরিচালনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়