কাগজ প্রতিবেদক : মাত্র ২০ দিনেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা প্রায় শতকের ঘর ছুঁয়েছে, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসে (১ থেকে ২১ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৩ জনে।
গতকাল সোমবার সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৪ জনের। সেই হিসাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমেছে। আর স্থিতিশীল রয়েছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার ৬৪৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৬০৬ জন রোগীর মধ্যে ২৮৯ জন ঢাকার এবং ৩১৭ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৫১ জন। এর মধ্যে (ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে) ১ হাজার ২৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ১ হাজার ৯৩ জন ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪১৩ জন। এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩৪ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ হাজার ৮২৮ জন। মাস ভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুনে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। জুলাইয়ে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১ আর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ২১ তারিখ (সকাল ৮টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের।