কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

নিরাপত্তায় দুর্বলতার সুযোগে ফিল্মি স্টাইলে জঙ্গি ছিনতাই

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** পলাতক জঙ্গিদ্বয় দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ** ধরতে রেড এলার্ট ** ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা হ তদন্তে কমিটি গঠন **

কাগজ প্রতিবেদক : আগেই প্রস্তুত করা ছিল দুটি মোটরসাইকেল। রাজধানীর আদালতপাড়া থেকে ভরদুপুরে পরিকল্পিতভাবে ফিল্মি স্টাইলে মারধর ও পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। দিনদুপুরে এমন ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। জঙ্গিদের তেমন কিছু করার সক্ষমতা নেই- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তৎপরতা ও সক্ষমতার বিষয়টি জানান দিল জঙ্গিরা। ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই দুই জঙ্গি ধরতে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছে পুলিশ। বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে সীমান্তেও। রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে ঢাকার প্রতিটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি। গতকাল রবিবার দুপুরে ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সব বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বেতার বার্তায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল ছিনিয়ে নেয়া আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এই জঙ্গিরা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত থেকে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের কেন ডাণ্ডাবেরি পরানো হয়নি- এ প্রশ্নের মধ্যে পুলিশ হেফাজত থেকে দুর্ধর্ষ দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঢিলেমির চিত্র ফুটে উঠেছে। একই ঘটনায় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল নূর এ আজাদ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের পর দুই জঙ্গিকে (পলাতক দুইজনের সঙ্গে থাকা) রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আইনমন্ত্রী একসঙ্গে বসে বলে দিয়েছিলাম, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের আদালতে আনতে হবে না; যেহেতু তাদের ফাঁসির আদেশ হয়েই গেছে। এই আদেশ কেন মানা হলো না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড এলার্ট জারি করেছি। আমাদের পুলিশ হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছে। আশা করি, শিগগিরই তাদের ধরতে পারব। আমরা সীমান্ত এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি, তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে। মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি। যদি কারও অবহেলা বা গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছে করে এ কাজটি ঘটিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও কোর্ট প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন, ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি আসামিসহ জড়িতদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে ডিএমপি, ডিবি, সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট। তিনি বলেন, ছিনিয়ে নেয়া দুই সদস্যই আনসার আল ইসলামের সদস্য। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় শুনানির জন্য আদালতে আনা হয়েছিল। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেছেন,

আদালতে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের হাজিরের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, সেটা ভিন্ন ইস্যু। সেটা কোর্টে দেখার জন্য আলাদা ইউনিট কাজ করছে। তবে কীভাবে জঙ্গিরা পালিয়ে গেল, ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি দেখছি। চারজনের মধ্য থেকে দুইজনকে কারা কীভাবে ছিনিয়ে নিয়ে গেল, তাদের প্রত্যেকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতের গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চোখে পিপার স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে অপর জঙ্গিরা। চোখে স্প্রে করার কারণে দায়িত্বরতরা কিছু দেখতে পারেননি। তিনি বলেন, ঘটনার পরপর ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ডিবির প্রত্যেকটা টিম কাজ করছে। আশা করছি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব। জঙ্গিরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ করে। এবার তারা নতুন একটি কৌশল নিয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে আসা চার জঙ্গি তাদের ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজতখানায় নেয়ার সময় চার আসামির মধ্যে দুইজনকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। স্প্রেতে চোখে ক্ষতি হওয়া কনেস্টেবল নূর এ আজাদকে (৩৯) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে কর্মরত।
এদিকে আদালতের সামনে থেকে ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। রবিবার বিকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে (ক্রাইম এন্ড অপস) সভাপতি করে গঠিত কমিটির বাকি চার সদস্য হলেন- ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন), যুগ্ম কমিশনার (সিটিটিসি), ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ও ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (সিআরও)। আদেশে বলা হয়েছে, দীপন হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি ঢাকার আদালত থেকে ‘পলাতক’ হওয়ার ঘটনায় এ সংক্রান্ত দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএমপি কমিশনারের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবীর গাড়িচালক শিপলু ভোরের কাগজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি আদালতের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি হট্টগোল। দেখি কয়েকজন দৌড়ে এসে পুলিশের চোখে স্প্রে মারছে। হাতকড়া পরা চার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় দুর্বত্তরা পুলিশের ওপর কিল ঘুষি মারতে থাকে। এভাবে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। আর দুই আসামিকে নিতে পারেনি। এ সময় আশপাশ থেকে কয়েকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও স্প্রে ছোড়া হয়, আর বলে গুলি করে দেব। তাই ভয়ে তাদের সামনে আর কেই আসেনি। তবে তাদের হাতে কোনো অস্ত্র দেখা যায়নি।
এছাড়া সেখানে উপস্থিত আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চার আসামিকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন একজন পুলিশ এবং একজন আনসার সদস্য। গেটের সামনে আসার পরপরই ওই ৪ আসামি পুলিশ ও আনসার সদস্যকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। এ সময় বাইরে থেকে আরো চারজন ছিল বাইক নিয়ে। ঘুষি দেয়ায় পুলিশ সদস্য আহত হন এবং তার শরীর থেকে রক্ত বের হয়। যার ফলে তার হাতে থাকা দুই আসামি ছেড়ে দেন তিনি। আনসার সদস্য তার হাতে থাকা দুই আসামিকে ছাড়েননি। তাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। তাকেও ঘুষি দেয়া হয়েছে, স্প্রে মারা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসামি ছাড়েননি। পুলিশ সদস্য যে দুই আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন তারা বাইরে রাখা মোটরসাইকেলে উঠে চলে যায়। জনসন রোডের প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন, রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে মোটরসাইকেলে থাকা লোকেরা সিগন্যাল দেয়ার পরই গেটের কাছে এসে আসামিরা পুলিশকে কিল ঘুষি দেয়া শুরু করে। এর মধ্যে গেটের দারোয়ান ধরতে এলে তাকেও স্প্রে মারা হয়, তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পার্কিংয়ে আরো ৩ জন ড্রাইভার ছিলেন, তাদেরও স্প্রে মেরে অজ্ঞান করা হয়। পথচারী ছিলেন অনেক, তাদের মধ্যে প্রথম কয়েকজনকে স্প্রে মারার পর বাকি পথচারীরা সরে যান। ‘ওপেন’ কাজ হয়েছে, কিন্তু কেউ ভয়ে সামনে যায়নি। ওই যে যাওয়ার পরপর স্প্রে মারে, আর অজ্ঞান হয়ে যায়, এটা দেখে আর কেউ ভয়ে আগায়নি। বাইরে তাদের যে লোক ছিল তারাও হয়তো চাকু-ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ ঘটনায় ৪৫ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে একজন করে চালকের দুটি মোটরসাইকেল আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় আরেকটি মোটরসাইকেলে তিনজন ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল। অপর দুজনের ছিল না। লাল রংয়ের অ্যাপাচি আরটিআর মডেলের মোটরসাইকেলের পেছনে এক ব্যক্তিকে দৌড়াতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছে। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকালে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ খবর পায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ব্লগার-লেখক-প্রকাশকদের হত্যার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদপুর থানার নবোদয় হাউজিং এলাকায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে শাহীন আলম ওরফে কামাল এবং শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিনকে আটক করে। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় তারা পুলিশ পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকীকে ধারালো চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ৮টি গ্রেনেড, ৯টি বোমাসহ বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গতকাল ওই মামলায় চার্জ গঠনের শুনানির জন্য ১২ জঙ্গিকে আদালতে আনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়