অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

মির্জাগঞ্জে টোকেন দিয়ে মহাসড়কে চাঁদাবাজি!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী বাজার সেতুর ওপরে অটোরিকশা, মাহিন্দ্র, সিএনজি, ট্রাক্টর থেকে কৌশলে জিম্মি করে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক ইউনিয়ন ও থ্রি হুইলার মালিক সমিতির রশিদ দিয়ে এ চাঁদা নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী চালকদের অভিযোগ, সুবিদখালী বাজার সেতু পার হতে গেলে চিহ্নিত কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিটি রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, টেম্পু, মাহেন্দ্রসহ অন্যান্য যানবহন থেকে থ্রি হুইলার মালিক সমিতির নামে ১০ ও শ্রমিক ইউনিয়নের নামে রশিদের মাধ্যমে ১০ টাকা হারে জোরপূর্বক চাঁদা তোলেন। ফলে চাঁদা উত্তোলনকারীদের সঙ্গে যানবাহন চালকদের প্রায়ই বাক-বিতণ্ডা লেগেই থাকে।
ভুক্তভোগী এক চালক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে আয় করছি তা থেকে জোরপূর্বক থ্রি হুইলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নামে ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। আমরা কি এ অত্যাচার থেকে রেহাই পাব না 
জানা যায়, মালিক সমিতি পরিচালনা ব্যয় ১০ টাকা ও শ্রমিক ইউনিয়ন পরিচালনা ব্যয় ১০ টাকা করে ১ হাজার ৫০০ গাড়ি থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা সংগঠনের পক্ষে আদায় করেন তসলিম নামের এক ব্যক্তি। আর এর তত্ত্বাবধান করেন পটুয়াখালী জেলা ট্যাক্সি, অটোরিকশা, টেম্পু থ্রি হুইলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুস সালাম। থ্রি হুইলার ও শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা উত্তোলনকারী তসলিম মিয়া বলেন, আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই চাঁদা তুলছি। এখানে অনেকের সঙ্গে ঝগড়া লাগে কিন্তু কী করব আমি তো বেতনে কাজ করি।
চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে মির্জাগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জমাদ্দার মুঠোফোনে বলেন, আমাদের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। টাকা-পয়সা উত্তোলনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই এবং আমি জড়িত নই। আমাদের নাম ব্যবহার করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে পটুয়াখালী জেলা অটোরিকশা, টেম্পু ও থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আপনাদের (সাংবাদিক) কাছ থেকে শুনেছি। অবৈধভাবে কেউ চাঁদা আদায় করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌসের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়