রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : রাজাপুরে রাতের আঁধারে ঘরে প্রবেশ করে মায়ের গলায় চাকু ধরে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে দশম শ্রেণি পড়–য়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত ও তার সহযোগীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে রাতেই প্রধান অভিযুক্ত মো. আলী হোসেন মোল্লাকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলী হোসেন মোল্লা উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত আনেচ মোল্লার ছেলে। অপর সহযোগী আসামি মো. ফুহাত মীর (২২) পলাতক রয়েছে। ফুহাত উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মো. শাহ আলম মীরার ছেলে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় একই এলাকার আলী হোসেন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ সময় আলীর সহযোগী ফুহাত মীর সব সময় তার সঙ্গে থাকত। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরে কয়েকদিন ভুক্তভোগীর বাড়িসহ ওই এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। গত ২৮ অক্টোবর রাত ২টার দিকে আলী হোসেন ও ফুহাত ভুক্তভোগী পরিবারের বসতবাড়ির জানালার শিক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর মায়ের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আলী হোসেন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ফুহাত ছাত্রীর মায়ের কাছে পাহারায় ছিল। ধর্ষণ শেষে টর্চলাইটের আলোতে অভিযুক্তরা তাদের চেহারা দেখিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। সকালে ভুক্তভোগী পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে আলী হোসেন ও ফুহাতের ভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী পরিবার এলাকায় এসে মঙ্গলবার রাতে আলী হোসেন ও তার সহযোগী ফুহাতকে আসামি করে মামলা করে। ওই মামলার প্রধান আসামি আলী হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।