হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

ফাঁকা আওয়াজ, বুমেরাং হতে পারে : অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. হারুন-অর-রশিদ দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল রবিবার টেলিফোনে ভোরের কাগজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের আলটিমেটাম, চলমান রাজনৈতিক ইস্যু, সরকারের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
দিনক্ষণ ধরে আন্দোলন হয় না মন্তব্য করে অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, একমাত্র সময় বেঁধে আন্দোলন হয়েছিল রাশিয়াতে, লেলিনের নেতৃত্বে। বিশ্বে আর কোথাও এই ইতিহাস নেই। বিএনপির আন্দোলন নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার ফাঁকা আওয়াজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর কিছুই হবে না। আর যখন কিছু না হয়, তখন বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিএনপির এসব হুংকার দায়িত্বহীনতার পরিচয়। দলীয় কর্মীদের চাঙা করার জন্য তারা মাঠগরমের রাজনীতি করছে। চৈত্র মাসের শেষে বৈশাখে যখন খালে বিলে জল পেয়ে মাছ আনন্দে নেচে ওঠে, বিএনপিও তেমনি দীর্ঘদিন নীরব থেকে এখন লোকসমাগম দেখে আনন্দে লাফাচ্ছে।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, রাজনীতিতে আলটিমেটাম পুরানো ইস্যু। তবে বিএনপি মাঠ দখলের লক্ষ্যে যে টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাংগঠনিক শক্তি তাদের আছে কিনা, এটি ভেবে দেখার বিষয়। বিএনপি কয়েকটি রাজনৈতিক সমাবেশ করেছে। তবে জনগণের সম্পৃক্ততা কতটুকু ছিল? জনগণ রাস্তায় নামেনি। জনগণ কেন বিএনপির কথায রাস্তায় নামবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছে। সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করেছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তারাই ২০১৪ সালে ধ্বংস করেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের হাতে রাষ্ট্র নিরাপদ নয়। বিএনপির সততা নেই, রাজনৈতিকভাবে এরা অস্বচ্ছ দল।
অধ্যাপক হারুন বলেন, সরকার পতন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এর আগে আন্দোলনে নেমে ব্যর্থতার ইতিহাস রয়েছে বিএনপির। ফলে মানুষ আর সাড়া দেয় না। মানুষ উন্নয়ন চায়। শান্তি চায়। সরকারের উচিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা আর বিএনপির উচিত হবে জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে নির্বাচনের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়