হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দিতে বললেন ব্লাটার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর মাত্র ৬ দিন পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এ ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে আয়োজক দেশ কাতার ইতোমধ্যে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার জানিয়েছেন, ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়া উচিত।
নারীদের প্রতি ইরানের সব সময়ই কট্টর অবস্থান। খেলাধুলায় তাদের নানাবিধ বিধিনিষেধ রয়েছে। এছাড়া অন্য সেক্টরগুলোতেও নারীরা নির্যাতিত হন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। মাস কয়েক আগে ড্রেস কোড না মানায় মাশা আমিনিকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক এখনো থামেনি। মূলত এসব প্রসঙ্গ টেনে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ইরানকে বাদ দেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্লাটার।
বিশ্বকাপের জন্য কাতারকে প্রস্তুত করতে গিয়ে নির্মাণ কাজে শত শত মানুষ মারা গেছেন। এ বিষয়ে ব্লাটার আঙুল তুলেছেন ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর দিকে। তিনি বলেন,‘সে (জিয়ান্নি) এখনই সমস্যার ভেতরে। কাতারের সঙ্গে সে সমঝোতা করতে পারেনি, যারা নির্মাণ কাজে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের জন্য কিছু করতে পারেনি। আমি মনে করি, ফিফাতে আছে এবং সাহস আছে, এমন একজনের এই দায়িত্বটা নেয়া উচিত।’ তিনি যোগ করেন,‘ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু ইনফান্তিনোর এর যথাযথ উত্তর দেয়ার মতো সাহস নেই। এর মধ্যে তিনি কাতারের শ্রমিকদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।’
কয়েকদিন আগে আয়োজক দেশ কাতারকে নিয়ে বোমা ফাটান ব্লাটার। তিনি জানান, কাতার বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করাটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
২০১০ সালে ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোটাভুটিতে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার।
সে সময় ফিফার সভাপতি ছিলেন সেপ ব্লাটার। এরপর কেটে গেছে ১২ বছর। সেপ ব্লাটারকে সরিয়ে এসেছে ফিফার নতুন প্রেসিডেন্ট। আয়োজক দেশ কাতার প্রসঙ্গে ব্লাটারের ভাষ্য,‘মিশেল প্লাতিনি (সাবেক উয়েফা সভাপতি) ও তার দলের চারটি ভোটের জোরে বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বদলে কাতারে চলে যায়। এটাই সত্যি। কাতার খুব ছোট একটা দেশ। ফুটবল ও বিশ্বকাপ সেখানে অনেক বড়।’
ছোট্ট দেশ কাতারের বিশ্বকাপ স্বত্ব পাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার যেন শেষ নেই। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সমকামীদের ওপর কর্তৃপক্ষের বিরূপ আচরণ নিয়ে আগে থেকেই চলছে বিতর্ক।
বিশ্বকাপ আসরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও নাসের আল খাতার জানিয়েছেন, কাতারের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার কোনো কমতি নেই দর্শকদের মধ্যে। তবে বিদেশি দর্শকদের অবশ্যই কাতারের আঞ্চলিক সংস্কৃঙতিকে সম্মান জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘আমাদের মূল ফোকাস এখন টুর্নামেন্টের দিকে। কীভাবে এটাকে সফলভাবে আয়োজন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা। বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য মোট ৪০ মিলিয়ন মানুষের আবেদন পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিন মিলিয়ন টিকেট বিক্রি হয়েছে। আর এটাই ছিল নির্ধারিত দর্শক সীমা। আমাদের এখানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু অবশ্যই আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে সবাইকে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়