সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

সজীব ওয়াজেদ জয় : তরুণদের মেধা-পরিশ্রমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তরুণরাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তরুণদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করব। এমন আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর এটা আমাদের জীবদ্দশার মধ্যেই হবে। গতকাল শনিবার সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দুই বছর আগেই আমরা কোভিড মোকাবিলা করলাম। সেটি যেতে না যেতে যুদ্ধ, সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে। এসব নিয়েই আজকাল খবরে অনেক শোনা যায়, অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকেন, এই সমস্যা আমাদের দেশ কীভাবে মোকাবিলা করবে? এই তরুণরাই হচ্ছে মোকাবিলা করার উদাহরণ। সমস্যার শেষ থাকে না। এই ১৪-১৫ বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তার মধ্যে আমরা কী কী সমস্যা দেখেছি। প্রথমেই ছিল বিদ্যুতের সমস্যা, তখন সবার চিন্তা ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়, এটা আমরা কীভাবে সমাধান করব, এটা তো সম্ভব না। তারপর অর্থনীতি, এত মানুষকে কীভাবে খাওয়ানো হবে, এই অর্থনীতিকে কীভাবে আগানো যায়। সেটাও আমরা করে দেখিয়েছি। তারপর এলো কোভিড, এটা নিয়ে সবাই ভয়ে ছিল। এটা ছিল সারাবিশ্বের আতঙ্ক। তবে কী দেখা গেল, বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে, নিজেদের পরিকল্পনায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ থেকে, এমনকি সবচেয়ে ধনী দেশ থেকেও ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। আমি গর্ব বোধ করি, যখন প্রতি বছর জয় বাংলা পুরস্কার দিই, তখন যে এতগুলো সংগঠন এগিয়ে আসে, আবেদন করে।
পদক বিজয়ী ও মনোনীতদের উদ্দেশে জয় বলেন, আপনারা নিজের প্রচেষ্টায়, কারো কাছে হাত না পেতে, নিজের মেধায়, নিজের চিন্তাধারায়, নিজের মতো অল্প হোক, বেশি হোক- কাজ শুরু করে দিচ্ছেন। আপনারা কারো জন্য বসে নেই। এটিই হচ্ছে আমাদের চেতনা, আমাদের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, এত আনন্দ লাগে যখন দেখি, আমাদের দেশে রোবোটিক হাত বানানো হচ্ছে। আমাদের দেশ থেকে প্রতিনিধি যাচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য। এসব অসাধারণ। আমাদের দেশ একটি অসাধারণ দেশ। আমরা স্বাধীন করেছি নিজের রক্ত দিয়ে। ১৬ কোটি মানুষকে ১০-১৫ বছরে আমরা দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছি।
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেলেন যারা : এবার ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন- বিজ্ঞান ও দক্ষতা বিভাগে বি কে স্কুল

অব রিসার্চের পরিচালক বিজন কুমার, বোসন বিজ্ঞান সংঘের সভাপতি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান, কমিউনিটি ওয়েলনেস বিভাগে ইয়ুথ প্ল্যানেটের প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম মাহমুদুল হাসান, উচ্ছ¡াসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রসেনজিৎ কুমার সাহা। কালচার এবং কমিউনিকেশন বিভাগে পেয়েছেন বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ, মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আসাদুজ্জামান মিলন। সামাজিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগে পেয়েছেন মজার ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিয়ান আরিফ, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুইনুল আহসান ফয়সাল। জলবায়ু ও ইনোভেশন বিভাগে পেয়েছেন বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া, রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জয় বড়ুয়া লাবলু।
এছাড়া আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীব, ম্রো ভাষার প্রথম কথাসাহিত্যিক ও গবেষক ইয়াংগুয়াং ম্রো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়