সরকার ৬৭ লাখ তরুণ-তরুণীকে আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে

আগের সংবাদ

১০ ডিসেম্বর কী হবে ঢাকায়? বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে আমানের আল্টিমেটাম > রাজপথে মোকাবিলা করবে আ.লীগ

পরের সংবাদ

প্রতিপক্ষের গুলি : বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা নিহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া ওরফে তানু ভূঁইয়া (৩৭) নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নূরে আলমের বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার ছেলে। একই এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নূরে আলমের বড় ভাই আবুল কাশেম সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাইকে ওরা (দুর্বৃত্তরা) গুলি করে মেরে ফেলেছে। নিহতের বোন লোপা বলেন, রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বগা ক্লিনিকের দিকে যায় তানু। কিছুক্ষণ পরেই পরপর ৪টি গুলির শব্দ পাই। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
জানা গেছে, নূরে আলমকে গুলি করা হয় একদম কাছ থেকে। এ সময় তিনি বাড়ির পাশের চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই ফরিদের নেতৃত্বে ৫ থেকে ৮ জন হেঁটে এসে তানুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনকে চড়থাপ্পড় দেন। এরপর তার বুকে ও পেটে গুলি করে চলে যান। নূরে আলমের এক নিকটাত্মীয় বলেন, বাসাবাটি পদ্মপুকুর চৌরাস্তার মোড়ে নূরে আলমের সঙ্গে থাকা দুজনকে ফরিদ ও তার সঙ্গীরা চড়থাপ্পড় দিয়ে বলেন, ‘তোদের তো মারতে আসিনি, তোরা চলে যা।’ এরপর ফরিদ তার কাছে থাকা পিস্তল বের করে নূরে আলমকে ৩-৪টি গুলি করেন এবং হেঁটে চলে যান।
স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট শহরতলির বৈটপুর এলাকার একটি মোড়ে বসে হত্যাকারীরা এই পরিকল্পনা করেন। পরে পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে তারা অস্ত্র নিয়ে আসেন। সেই অস্ত্র দিয়েই রাতে নূরে আলমকে গুলি করেন ফরিদ। গুলি করার স্থান থেকে ১০০ গজ দূরে নূরে আলমের বাড়ি। এর আগে ২০১৭ সালেও খুলনার আহসান হাবীব রোডে নূরে আলমকে গুলি করেছিল দুর্বৃত্তরা।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, তানু ভূঁইয়া আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।
এদিকে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তানুর নামে মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। ফরিদকে আটক করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। তার নামে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫টি মামলা রয়েছে।
গতকাল দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নূরে আলমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, নূরে আলমের শরীর থেকে ৩টি গুলি বের করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়