পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পারস্পরিক আইনি সহায়তার জন্য ৮টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে চুক্তির খসড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করবে। যেসব দেশের সঙ্গে দুদক চুক্তি করতে চায় সেগুলো হলো- কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব তথ্য জানান।
এর আগে অর্থ পাচার রোধ ও পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে ১০টি দেশের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে অর্থ পাচার রোধে রিসার্চ সেল গঠনের উদ্যোগও নেয়া হয়। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এমএলএ চুক্তি সইয়ের অনুরোধ করে চিঠি দেয় বিএফআইইউ। বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সই করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চীন। গত ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। আদালতের নির্দেশে বিএফআইইউ এ প্রতিবেদন তৈরি করে।
গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছর সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। তবে উভয় দেশের সম্মতিতে ব্যাংকিং তথ্য লেনদেন হতে পারে এবং সেটা সম্ভব। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরপর ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি, তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর দুদক এবং বিএফআইইউ’র পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ হলফনামা আকারে আদালতে তথ্য দাখিল করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক এবং বিএফআইইউ বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের গন্তব্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ নেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়