পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, অর্থনীতি বিশ্লেষক : সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, আইএমএফের এ ঋণ সহায়তা বর্তমান সংকট মোকাবিলায় কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। তবে ২০২৬ সাল নাগাদ ঋণ পাওয়ার বিষয়টি একটু লম্বা হয়ে যাচ্ছে। এটা আরো একটু কম সময় হলে ভালো হতো। গতকাল বুধবার রাতে তিনি ভোরের কাগজকে এসব কথা বলেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার চাপ সৃষ্টি হয়েছে অনেক আগে থেকে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এর মাত্রা আরো উসকে দিয়েছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশের রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। তাই আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী যে বলেছেন, আমরা যেভাবে চেয়েছি সেভাবেই ঋণ পেতে যাচ্ছি- এ বিষয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। তাহলে কি ঋণ দিতে আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি! নাকি আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে সরকার তা মানতে রাজি হয়েছে- বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার না।
অর্থনীতিতে সংস্কার জরুরি উল্লেখ করে এ অর্থনীতি বিশ্লেষক বলেন, এ যাবৎ আইএমএফ থেকে যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই করা উচিত ছিল। কাজেই আইএমএফ শর্ত দিলেও আপত্তি করার মতো কিছু নেই। কারণ রাজস্ব বাড়ানো, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি কমানো, রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতি পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আমাদের নিজেদেরই সংস্কার করা দরকার।
তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের কোনো ছাড় দেয়া ঠিক হবে না। এটি এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠাও জরুরি। রিজার্ভের হিসাব আন্তর্জাতিক মানেই হওয়া উচিত। এটি আইএমএফ অনেক দিন ধরেই বলছে। এটি করা উচিত। ভর্তূকির বিষয়ে কিছুটা আপত্তি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিষয়গুলো নিয়ে আইএমএফকে বোঝানো গেলে তারা বিবেচনায় নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়