পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে বোমা ফাটালেন ব্লাটার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর মাত্র ১০ দিন পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত এ ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে আয়োজক দেশ কাতার ইতোমধ্যে সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। বিশ্বকাপ শুরুর দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার জানিয়েছেন, কাতারকে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করাটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
২০১০ সালে ফিফার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোটাভুটিতে বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার। সে সময় ফিফার সভাপতি ছিলেন সেপ ব্লাটার। এরপর কেটে গেছে ১২ বছর। সেপ ব্লাটারকে সরিয়ে এসেছে ফিফার নতুন প্রেসিডেন্ট। আয়োজক দেশ কাতার প্রসঙ্গে ব্লাটারের ভাষ্য, ‘মিশেল প্লাতিনি (সে সময়ের উয়েফা সভাপতি) ও তার দলের চারটি ভোটের জোরে বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বদলে কাতারে চলে যায়। এটাই সত্যি। কাতার খুব ছোট একটা দেশ। ফুটবল ও বিশ্বকাপ সেখানে অনেক বড়।’ প্লাতিনি ও তার দল কেন কাতারের পক্ষ নিয়েছিল, সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ব্লাটার। তিনি জানান, ওই সময়ের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি প্লাতিনিকে চাপ দিচ্ছিলেন যেন ইউরোপীয় অঞ্চলের ভোট কাতারের পক্ষে যায়। তিনি বলেন, ‘৬ মাস পর ফ্রান্সের কাছ থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার মূল্যের যুদ্ধবিমান কেনে কাতার। সবকিছুই ছিল অর্থ সংক্রান্ত।’
ব্লাটার আরো জানান, রাশিয়ার পর এই ২০২২-এর আসর যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ার পরিককল্পনা ছিল, ‘এই দুই আসরের (২০১৮ ও ২০২২) প্রথমটি রাশিয়ায় এবং পরেরটি যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজনের বিষয়ে (অলিখিত) চুক্তি ছিল। এটা বেশ ভালোই হত, বছরের পর বছর ধরে চলে আসা দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরপর দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করত।’
ছোট্ট দেশ কাতারের বিশ্বকাপ স্বত্ব পাওয়া নিয়ে আলোচনা- সমালোচনার যেন শেষ নেই। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সমকামীদের ওপর কর্তৃপক্ষের বিরূপ আচরণ নিয়ে আগে থেকেই চলছে বিতর্ক।
বিশ্বকাপ আসরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও নাসের আল খাতার জানিয়েছেন, কাতারের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার কোনো কমতি নেই দর্শকদের মধ্যে। তবে বিদেশি দর্শকদের অবশ্যই কাতারের আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস এখন টুর্নামেন্টের দিকে। কীভাবে এটাকে সফলভাবে আয়োজন করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা। বিশ্বকাপের টিকেটের জন্য মোট ৪০ মিলিয়ন মানুষের আবেদন পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিন মিলিয়ন টিকেট বিক্রি হয়েছে। আর এটাই ছিল নির্ধারিত দর্শক সীমা। আমাদের এখানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু অবশ্যই আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে সবাইকে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়