কাগজ প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ২৫ বছরের বেশি পুলিশে কর্মরত যেসব কর্মকর্তা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) ‘টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার বাধ্যতামূলক অবসর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ একটা ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খল) ফোর্স। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও সাধারণ মানুষের সেবার জন্যই এ ফোর্স। পুলিশে যেসব কর্মকর্তা দেশের কথা চিন্তা করেন না, যাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম নেই, যারা কাজকর্মে অনীহা প্রদর্শন করছেন, আরোপিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না এবং কর্মক্ষেত্রে চরম অবহেলা করে চলছেন- তাদের মধ্যে ২৫ বছর উত্তীর্ণ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কতজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। যদি আরো পেছনে তাকান প্রতি বছর প্রতিমাসে দুয়েকজন করে এমন অবসরে যাচ্ছে। এটা কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে আসে না।
এদিকে টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের অবশ্যই কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যা যা করা দরকার সব করছি।
তিনি বলেন, লোডশেডিং, তেল-গ্যাস ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমরা প্রচণ্ডভাবে হোঁচট খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় ২০ হাজার মেগাওয়াট। তবুও আমরা লোডশেডিং করছি, সাশ্রয়ী পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে। যুদ্ধের ফলে ডিজেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এলএনজির দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে জোরদার করার পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের স্বপ্নপূরণে কাজ করতে হবে। সে লক্ষ্যে আইডিইবি কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যে জনশক্তি প্রয়োজন সেটা কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররাই।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬০ ডলার। আজ তা বেড়ে ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে।