পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

ছাত্রলীগের কমিটি প্রত্যাখ্যান : বগুড়ায় আ.লীগ অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি : জেলা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো পদবঞ্চিত নেতা এবং তাদের সমর্থকরা বগুড়া শহরের সাতমাথায় টেম্পল সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। অবস্থান কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা থেমে থেমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাড়া বগুড়া সদর উপজেলা ও শহর ছাত্রলীগ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ ও সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাত বছর পর সম্মেলন ছাড়াই ঘোষিত এই কমিটিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০ জনের নাম রয়েছে। এর পরপরই বগুড়া শহরের টেম্পল সড়কে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ওই ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। কার্যালয়ের সামনে টেম্পল সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন তৌহিদুর রহমান। তিনি নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদ পেয়েছেন। তৌহিদুর বলেন, যারা কখনো বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই সংগ্রামে অংশ নেননি, যারা কখনো ছাত্রলীগের আদর্শিক রাজনীতি করেননি, তাদের নিয়ে গঠিত জেলা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত দুর্বার আন্দোলন চলবে। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া আল-মাহিদুল ইসলামকে জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে কেউ কখনো দেখেননি। তিনি জেলা ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্যও নন। তৌহিদুরের দাবি, আল-মাহিদুলের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলায় হলেও তিনি ঢাকায় থাকেন। নতুন কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক পদ পাওয়া মাহফুজুর রহমানও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। তিনি বলেন, কমিটিতে সভাপতি পদ পাওয়া সজীব সাহা এর আগের কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক পদ পাওয়ার আগে তিনি ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ডেই ছিলেন না।
আন্দোলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদপ্রত্যাশী ৫৬ নেতার কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা। নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদ পাওয়া অনুরাগী তিশা সেই তালিকায় ছিলেন না। পদবঞ্চিত একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, তিশা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সখ্য থাকায় তিশাকে বগুড়া জেলা কমিটিতে সহসভাপতি পদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়া আল ইমরান হোসেনের বাড়িও গাইবান্ধায়। আন্দোলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের দাবি, নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমানের অনুসারী। টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। এই কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়