গ্রেপ্তার ৭ : ইশরাকসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগের সংবাদ

শর্তগুলো কঠিন হলেও যৌক্তিক : আইএমএফের শর্ত মেনেই ঋণ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

পরের সংবাদ

সুযোগ হাতছাড়া টাইগারদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে নেদারল্যান্ডস টাইগারদের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। সাকিব বাহিনী সুযোগ কাজে লাগাতে না পরলেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। গতকাল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা জয় পেলে আগামী বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে খেলতে হতো না। ২০২৪ সালে উইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে টাইগারদের বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে মূলপর্বে খেলতে হবে। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সূচনাটা দারুণ হয়েছিল। দশ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে সাকিবদের সংগ্রহ ছিল ৭০ রান। এমন সূচনার পর ১২৭ রানে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়া দুঃখজনক। পুরো বিশ্বকাপে মিডল অর্ডার হতাশ করেছে। মিডল অর্ডার রান করতে পারলে ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে পারত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের মতো খেলোয়াড় থাকলে বিশ্বকাপে আরো ভালো পারফরমেন্স করতে পারত টাইগাররা। প্রতিটি দলে তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে।
আগামী বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। এ দলগুলো টাইগারদের প্রায়ই চোখ রাঙাচ্ছে। ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে হলে এখন থেকে পরিকল্পনা করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে বিপিএলে। ভারত দলে যারা খেলছে তাদের অধিকাংশ ক্রিকেটারই উঠে এসেছে আইপিএল থেকে। আইপিএলের ম্যাচে ২০০ প্লাস রান হয় হরহামেশা। বিপিএলে রান ওঠে ১২০ থেকে ১৫০। বিপিএলের উইকেট থাকে স্লো। যদি স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হয় তাহলে রান ২০০ প্লাস হবে এবং বোলাররাও উইকেট পাবে। বিপিএলে শিরোপার প্রত্যাশায় দলগুলো বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দেয়। আইপিএলে দেশি খেলোয়াড়দের দিকে ফোকাস থাকে। এ কারণে ভারতে খেলোয়াড় ওঠে আসে। হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকতে হলে দল গঠনে ঘরোয়া লিগে যারা ভালো খেলবে তাদের দলে নেয়া উচিত। কাউকে দলে নিয়ে এক দুই সিরিজ শেষে বাদ দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। একজন খেলোয়াড়কে ৩-৪টি সিরিজ পরখ করা উচিত। বিজয় ঘরোয়া লিগে ভালো রান করেছে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাকে রাখা উচিত ছিল। ঘরোয়া লিগে ভালো রান না করা সাব্বিরকে এশিয়া কাপে এবং দুবাই সফরে দলে নেয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে দল গঠন করতে হবে। ঘন ঘন পরীক্ষার চিন্তাধারা পরিহার করতে হবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ১৫০ রান করতে পারলে ম্যাচে ফাইট হতো। যে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে তা নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। এখন ভবিষ্যতের কথা ভেবে ফের নতুন করে শুরু করতে হবে। বাউন্সি উইকেটে খেলার মেজাজ তৈরি করতে হবে। টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটা লপ্ত করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়