বাংলা একাডেমির তিনটি পুরস্কার ঘোষণা

আগের সংবাদ

মহাসড়কে পদে পদে মরণফাঁদ :

পরের সংবাদ

৫-২৯ বয়সিদের মৃত্যুর বড় কারণ সড়ক দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোড ক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। দেশে ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ এটি। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, এর বড় একটি অংশ মারা যায় সময়মতো হাসপাতালে না নিতে পারার কারণে। এই মৃত্যু প্রতিরোধে দুর্ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষণিক সেবা দেয়ার বিষয়ে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘স্বাস্থ্য খাতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থোপেডিক সোসাইটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। স্বাস্থ্য খাতের ওপর সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)।
ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা করাটা সমাধান নয়। বরং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের জোর দিতে হবে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমাতে পারলেই আমরা সফল হিসেবে দাবি করতে পারব।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। কিন্তু আমাদের দেশে এটি নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করে। অথচ স্থানীয় সকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের আওতায়ও সড়ক রয়েছে। ফলে সড়ক নিরাপদ করতে হলে সকলকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ কমাতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য জাতিসংঘ প্রণীত রোড সেফটি গাইডলাইন অনুসরণ করা জরুরি। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমাতে পোস্ট ক্র্যাশ ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে এই খাতে বাজেটের ওপর চাপ কমবে এবং হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়