স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

জাতিসংঘের গবেষণা প্রতিবেদন : কোনো অগ্রগতি নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্তমানে বিশ্বের দেশগুলো যে জলবায়ু নীতি অনুসরণ করছে, তাতে এ শতাব্দীতে উষ্ণায়ন গড়ে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে বিশ্বের দেশগুলোর সরকারের দেয়া প্রতিশ্রæতি পূরণে কোনো অগ্রগতি নেই। বৃহস্পতিবার বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)। এতে বলা হয়েছে, তাপমাত্রার বেঁধে দেয়া সীমা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এখন ভেস্তে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।
তাপমাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পড়েছে সেটি খতিয়ে দেখে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের দেশগুলো যে জলবায়ু নীতি অনুসরণ করছে তাতে এ শতাব্দীতে উষ্ণায়ন ওই পরিমাণ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এ বছর ৬ থেকে ১৮ নভেম্বরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে মিসরের ‘শার্ম আল-শেখ’ এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৭তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭)। সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে এনে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বজায় রাখার সম্মিলিত প্রতিশ্রæতিতে পৌঁছার চেষ্টা চলবে।
জাতিসংঘের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের পর থেকে বিশ্বের দেশগুলোর সরকারের কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনায় দুঃখজনকভাবে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়নি। এ পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে সমাজে রূপান্তর ঘটানো গেলেই কেবল বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। গত জলবায়ু সম্মেলনে দেয়া প্রতিশ্রæতি মোতাবেক নতুন করে কার্বন নিঃসরন কমানোর যে চেষ্টা শুরু হয়েছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমবে ১ শতাংশেরও কম। অথচ বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমা দরকার। তাই বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সরকারের যে জলবায়ু পরিকল্পনা আছে তাতে আরো গতি সঞ্চার না করা গেলে এ শতাব্দীর শেষ নাগাদই তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে, যা গত বছরের আনুমানিক হিসাবের চেয়ে ০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে গেলে গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষের ওপর এর বিপজ্জনক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বিশ্ব এ মুহূর্তে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বজায় রাখার মতো অবস্থায় নেই। গত বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাগুলোর পর এ বাস্তবতা আরো প্রকট হয়েছে। বিশ্বের দেশগুলো আর্থিক সহায়তা পেলে এবং পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে তাপমাত্রা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা যেতে পারে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিশ্বকে আবার জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, নতুবা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়