জি এম কাদের : ৩০০ আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী দিবে জাপা

আগের সংবাদ

নাটকীয় সমঝোতার পথে জাপা :

পরের সংবাদ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী : সংঘবদ্ধ ধর্ষণে নারীর মৃত্যু সাবেক স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে সোনিয়া আক্তার (১৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাবেক স্বামীসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন বাবা ফিরোজ আলম।
মামলা দায়েরের পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক স্বামী মাহিম ইসলাম (১৯), জয়নাল মিয়া (৪৫), বন্ধু সাকিব হোসেন (১৮) ও পল্লব হাসান (১৯)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাত দিন বয়সে সোনিয়াকে দত্তক নেন সরিষাবাড়ীর পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ আলম। তার বাড়িতেই বড় হন সোনিয়া। গত বছর আওনা ইউনিয়নের কূলপাল গ্রামের লিপন মিয়ার ছেলে মাহিমের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের চার লাখ টাকা ও নানা কারণে সোনিয়াকে নির্যাতন করে আসছিলেন মাহিম ও তার পরিবারের লোকজন। প্রায় ১০ মাস সংসার করার পর নির্যাতন সইতে না পেরে মাহিমকে তালাক দেন সোনিয়া। এর কিছুদিন পর থেকে সোনিয়ার সঙ্গে মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন মাহিম। একপর্যায়ে গত ২৩ অক্টোবর সোনিয়াকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায় মাহিম। পোগলদিঘা ইউনিয়নের ডুরিয়ারভিটা গ্রামে ছানোয়ার হোসেনের বাড়িতে আটকে রেখে সোনিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে মাহিমসহ গ্রেপ্তারকৃতরা। এর দুদিন পর সেখান থেকে একই উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে পল্লবের বাড়িতে নিয়ে পুনরায় সোনিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাহিম ও তার সহযোগীরা রাতেই সোনিয়াকে প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে ২৯ অক্টোবর বিকালে সোনিয়ার লাশ গেন্দারপাড়া গ্রামে এনে দাফন করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়