শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে নি¤œচাপ : মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে ‘সিত্রাং’

আগের সংবাদ

সিত্রাংয়ের ভয়াবহ ছোবল ১৩ জেলায় : ভোলা ও নড়াইলে ৩ জনের মৃত্যু > তিন বিমানবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ > ২৫ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে > তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন : দীর্ঘদিনেও পুনর্নির্মাণ হয়নি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-কলেজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খায়ারুল আলম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) থেকে : প্রায় সাত বছর আগে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে সারিয়াকান্দির ঐতিহ্যবাহী চন্দনবাইশা ইউনিয়নটি প্রায় বিলীন হয়ে যায়। ওই ভাঙনে এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো গৃহহীন হয়ে পড়ে। তখন ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংক, ডাকঘর, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাট-বাজারসহ অন্যান্য স্থাপনা। নদীতে ভেঙে যায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন শুধু চন্দনবাইশার একটি গ্রামের সামান্য কিছু অংশ অস্তিত্বের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। একই সঙ্গে সারিয়াকান্দির কুতুবপুর ইউনিয়নের আংশিক যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে চন্দনবাইশা এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যমুনায় বিলীন হওয়ার পর এখনো সবগুলো নতুন করে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় এখানকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অথচ এক সময় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র্র ছিল চন্দনবাইশা।
জানা গেছে, যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে ভেঙে যায় চন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরচন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওখিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজ চন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয়, আয়শা ওসমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ, চন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও থানার মাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪২নং কর্ণীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৩নং কর্ণীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫০ নিজকর্ণীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাড়াপালা সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরজমিন দেখা গেছে, সাত বছর আগে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনের কারণে এখন চন্দনবাইশা ইউনিয়নটি এক বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে নাটরের দিঘাপতিয়ার জমিদার প্রমদানাথ রায়ের নামে ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয়টি কয়েক দফা নদীতে ভেঙে যাওয়ার পর অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৯৬৪ সালে বগুড়া জেলার দ্বিতীয় ডিগ্রি কলেজ চন্দনবাইশায় প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত এ কারণেই এই জনপদের মানুষ শিক্ষা ও শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে চলেছে। সেটি নদীতে ভেঙে গেলে অন্যত্র স্থাপন করা হয়েছে। নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয় এবং আয়েশা ওসমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যত্র স্থাপন করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের ওপর অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির জানান, নদীভাঙনে বিধ্বস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটির ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েকটির বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অন্যগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি না থাকায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। যদি শেষ মুহূর্তে জমি না পাওয়া যায় তাহলে রিপোর্ট করে নিকটবর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়