মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) প্রশাসনিক ভবন, ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন, ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন, বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড ও টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। আগামী বুধবার সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি) পানি পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (মিরসরাই-সীতাকুণ্ড-ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল) এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৩ একর জমিতে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৮৩৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যেখানে প্রায় ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৯৩ জনের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) চারটি কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ইজেডে আটটি কারখানা রয়েছে। এই শিল্প ইউনিটগুলোতে ইতোমধ্যে ৯৬৭ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে এবং আরো প্রায় ৩৩১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইজেডে ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, যেগুলো এখন পর্যন্ত ৬১০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে এবং আরো ১৯২২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উদ্বোধন হতে যাওয়া ইজেড সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসএমএসএন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট ইজেড এবং সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের প্রশাসনিক ভবন। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএমএসএন-এ ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন ও সাবস্টেশন উদ্বোধন করবেন। প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি) পানি পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ইজেডগুলোতে ৫০টি শিল্প ইউনিট, প্রকল্প ও ভবন উদ্বোধন করবেন। বেজার লক্ষ্য শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পিছিয়ে পড়া ও অনুন্নত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সকল সম্ভাব্য এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২৮টি বর্তমানে উন্নয়নাধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনার লাইসেন্স পেয়েছে এবং এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।