মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ : ফরহাদকে সরানো হচ্ছে, মুস্তাফিজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আগের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

পরের সংবাদ

নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন : সৈয়দপুরে জমে উঠেছে সদস্য পদের প্রচারণা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে নীলফামারী জেলা পরিষদের সদস্য পদের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলার শহর ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় ছেয়ে গেছে পোস্টার। প্রার্থীরা ভোটারদের পক্ষে টানতে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভূরিভোজের আয়োজন করছেন। অনেক প্রার্থী ভোট আদায়ে কাকডাকা ভোরে উঠে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। বের করছেন ভোটারদের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্র। প্রার্থীদের অনেকে নিজ দলের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত এবং ভোট প্রাপ্তির আশায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঝালাই করে নিচ্ছেন। জেলা পরিষদের এ ভোট সাধারণের মাঝেও আলোচনার ঝড় তুলেছে। আলোচনায় স্থান পাচ্ছে প্রার্থীদের অতিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড তথা সৈয়দপুর উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন চারজন। এসব প্রার্থীর মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন প্রামাণিক। তার প্রতীক অটোবাইক। তালা প্রতীক নিয়ে সদস্য পদে লড়ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি মিজানুর রহমান লিটন। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ আহমেদের প্রতীক হাতী। জাতীয়তাবাদী যুবদল সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক নলকূপ মার্কা নিয়ে সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন।
বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নুরুল আমিন প্রামাণিক ক্লিন ইমেজের অধিকারী। মিজানুর রহমান লিটন ভোটের রাজনীতিতে বেশ শক্ত প্রার্থী। তার স্ত্রী সানজিদা বেগম লাকী ও ছোট ভাই আজমল হোসেন সরকার সৈয়দপুর উপজেলা পষিদের ভাইস চেয়ারম্যান। এমনকি তার আপন ছোট ভাই মাসুদ রানা পাইলট বাবু এই উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। সবমিলে লিটনের পরিবার উপজেলার মধ্যে জনপিয়। একই পরিবার থেকে সব প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে এ বিষয়টি সাধারণ ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। তাছাড়া মিজানুর রহমান লিটনের ছাত্র রাজনীতির কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ফলে ভোটের রাজনীতিতে পাকা হলেও তার ইমেজ সংকটের কথা ভোটারদের মাঝে আলোচনা চলছে।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক শিক্ষা জীবনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার প্রভাবশালী ছাত্র নেতা ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে আসেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সরকার দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন। রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত হলেও ভোটারদের হিসাব নিকাশের আলোচনায় বেশ পিছিয়ে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়