বনানীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ নিয়ে প্রশ্ন : কোড অব কন্ডাক্ট মানছেন না কূটনীতিকরা, কূটনৈতিক ‘শালীনতা’ যেন লঙ্ঘন না হয়

পরের সংবাদ

সব দলকেই নির্বাচনে চাই

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজনীতি করতে হলে দলগুলো নিজেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে- মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে কে আসবে কে আসবে না- সেটি ওই রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমরা তো চাপিয়ে দিতে পারি না। তবে আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশ নিক। আওয়ামী লীগ কখনো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি, আসবেও না। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গতবার নির্বাচনে এলো, ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে হেরে গেল। তখন সব দোষ কার? আমাদের! আওয়ামী লীগ কোনো ডিক্টেটর বা ইমার্জেন্সি দিয়ে ক্ষমতা দখল করেনি। এ দেশে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি ও সংস্কার- এটা আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট করে সবাইকে নিয়েই করে দিয়েছি। এরপর যদি কেউ না আসে, সেখানে আমাদের কী করণীয়। হারার ভয়ে আসবে না। আর একেবারে সবাইকে লোকমা তুলে খাইয়ে দিতে হবে। জিতিয়ে দিতে হবে, তবে আসবে- এটা তো আর হয় না। যাদের এটিই অভ্যাস তারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে ভয় পায়, এটাই বাস্তবতা। অগ্নিসন্ত্রাস করে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের কি মানুষ ভোট দেবে? কখনো দিতে পারে না। কারণ, সেই পোড়া ঘা তো এখনো সবার শুকায়নি। এখনো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গ্রেনেড হামলায় যারা আহত। যারা লুটপাট করে খেয়েছে। সেই কথাগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ একটু কমই দেখা যাচ্ছে। করোনা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দিত না। কতদিন আর দূরে থাকা যায়। তবে করোনার কারণে এবার একটু চিন্তা করতে হবে। অনেকে আসতেও পারবে না।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরে দলের সম্মেলন করবো। দল সিদ্ধান্ত নেবে। আর পরবর্তী বছরই নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। দলের প্রতিটি বিষয়ে গঠনতন্ত্র মেনে সিদ্ধান্ত নেই। প্রত্যেকবার আমরা কী কী অঙ্গীকার করেছিলাম, কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি তার হিসাব করি। আগামীতে আমরা কী করবো সেটাও সেভাবে তৈরি করি।
বিরোধী দল শক্তিশালী হলে, অনেক কিছুই হতো : এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমাদের। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অধিকারের আন্দোলন-সংগ্রাম, হুমকি-ধমকি অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। সেটা তো বিরোধী দলের কাজ। তা না করলে কিসের বিরোধী দল। বিরোধী দল যদি শক্তিশালী হতো তাহলে তো অনেক

কিছুই হতো। তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা আছে, সবসময় নেতিবাচক চিন্তা। এরকম মানুষও আছে। তবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। জনগণের যেন কষ্ট না হয় আমি সেদিকে দৃষ্টি দেই। ১ বিলিয়ন রিজার্ভ, ৪৪ মিলিয়ন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিলাম। তবে আমরা যখনই আসি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি।
বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি ছিল না : বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি ছিল না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, আগামী বছর একটা মহাসংকটের বছর হবে। এ নিয়ে সবাই আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেয়া দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করা দরকার। করোনা ভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশের অর্থনীতি সচল ছিল। আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট। সংকটেও পাঁচ মাসের খাদ্য কেনার সক্ষমতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি ছিল না। সংকট মোকাবিলায় জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা সারা জীবনই বাংলাদেশের খারাপ কথাটা বলতে পারলেই স্বস্তি পায়। এটা আমি যুগ যুগ ধরে দেখছি। এরকম এক ধরনের মানুষ থাকে। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা অথবা পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। মানুষ যতই ভালো করুক, তাদের চোখে ভালো হওয়া যাবে না। তবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, চিন্তাও করি না। জনগণের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে।
আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক : রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলরও না চাইলে আমি কোনোদিনও পদে থাকব না। যেদিন আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল তখন থেকেই এই সত্যটা মেনে যাচ্ছি। এটা ঠিক দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলররা নির্বাচিত করেন। তাদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত। আর আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক অগ্রগতি করে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে যান। এই স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার স্বীকৃতি কিন্তু জাতিসংঘই দিয়েছিল। এরপর দেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হয়েছে। ক্ষমতা ছিল বন্দি, গণতন্ত্র ছিল না। ছিল মার্শাল ল, মিলিটারি শাসন, কারফিউ। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করি। আমরা একটানা তিনবার ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি, গণতান্ত্রিক ধারা বাংলাদেশে অব্যাহত আছে। এর বাইরে অনেক চড়াই-উতরাই, খুন-খারাবি, অগ্নিসংযোগ, অগ্নিসন্ত্রাস অনেক কিছু হয়েছে। এরপরও আমরা ক্ষমতায় ছিলাম বলে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন বিদায় নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।
র‌্যাব কার পরামর্শে সৃষ্টি করা হয়েছে? : অন্য এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন সময় নানা রকম ঘটনা ঘটায়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশেরই কিছু লোক স্থানীয়ভাবে সেখানে থাকে। তারা সেখানের সিনেটরদের কাছে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে। এসব তথ্য দিয়ে একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে। যারা এসব করে তারা কিন্তু এক একটি অপকর্ম করেই দেশ ছাড়া। র‌্যাবের ওপর তারা যখন নিষেধাজ্ঞা দিল, আমার প্রশ্ন হচ্ছে র‌্যাব সৃষ্টি করেছে কে? এটি তো যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে হয়েছে। তারাই তো র‌্যাব সৃষ্টি করতে পরামর্শ দিয়েছে। র‌্যাবের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, হেলিকপ্টার, আইটি সিস্টেম সবই যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া। যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়, অভিযোগ জানায়, তখন তো বলা লাগে যেমন ট্রেনিং দিয়েছে তেমনই কাজ করছে। এখানে আমাদের করার কী আছে? তিনি বলেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তারা কতটুকু তুলবে জানি না, তবে যাদের দিয়ে এ দেশের সন্ত্রাস দমন হয়েছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী? সন্ত্রাসীদের মদত দেয়া? এটাই প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। তাহলে কি তারা সন্ত্রাস দমনে নাখোশ? ৪০ বছর ধরে তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই তালেবানকেই ক্ষমতা দিয়ে চলে এলো যুক্তরাষ্ট্র। ৪০ বছর তো তারা রাজত্ব করল। তাহলে তাদের ব্যর্থতার কথা বলে না কেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ইচ্ছামতো গুলি করে মারলেও বিচার হয় না : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা সংস্থা র‌্যাব, পুলিশ যেই হোক, তারা যদি কোনো অপরাধ করে তার কিন্তু বিচার হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ইচ্ছামতো গুলি করে মারলেও বিচার হয় না। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গুম খুন নিয়ে কথা বলেন। গুমের হিসাব নিয়ে দেখা গেলো সবচেয়ে বেশি গুম জিয়াউর রহমানের আমলে। তারপর থেকেই তো চলছে। আমরা যখন তালিকা চাইলাম ৭৬ জনের নাম পাওয়া গেল। এরমধ্যে এমনও আছে, আরেকজনকে শায়েস্তা করতে মাকে লুকিয়ে রেখেছে। কেউ বোনকে লুকিয়ে রেখেছে। আবার দেখা গেছে ঢাকা থেকে খুলনা চলে গেছে। তালিকায় এমনও নাম আছে, ভারতে পলাতক। এটা কেমন করে হয়? এমনও হয়েছে যে তালিকায় নাম আছে কিন্তু লুকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই বিষয়গুলো আমরা তাদের সামনে তুলে ধরেছি। এরকম গুমের ঘটনা যখনই ঘটে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে বের করে। গুম যত বড় করে দেখানো হয়, খুঁজে পাওয়া যদি বড় করে দেখানো হতো তাহলে বাংলাদেশের বদনাম হতো না।
বিএনপির খুঁটিতে জোর থাকলে বিদেশিদের কাছে যেতে হতো না : প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল বিএনপি প্রতি সপ্তাহে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কাছে যাচ্ছে; নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, নাকি বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়, নির্বাচনটা কে করে দিয়ে যাবে। বিএনপি ভুলে গেছে তাদের অতীতের কথা। বিএনপির সৃষ্টি যেভাবে, একটি মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে বিএনপির সৃষ্টি। তারপর নির্বাচনের যে প্রহসন, এটা তো তাদেরই সৃষ্টি। বরং আমরা নির্বাচনটাকে এখন জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। ছবিসহ ভোটার তালিকা হচ্ছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেয়া হচ্ছে। মানুষ যেন তার ভোটটা দিতে পারে, সে পরিবেশ বা ভোট সম্পর্কে মানুষের যে সচেতনতা, এটা কিন্তু আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে। জনসমর্থন, জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস এই শক্তি বিএনপির নেই। তারা কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে। আগুন দিয়ে পোড়ানো, মানুষ খুন করা, বোমা মারা, গ্রেনেড মারা সব জায়গায় তো আছে। তারা যদি সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন কী জবাব দেবে বিএনপি। এ জন্যই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়ায়। দেশের মানুষের কাছে যায় না। তিনি বলেন, নিজের দেশের মাটিতেই যদি বিএনপির সমর্থন থাকত, যদি তাদের খুঁটিতে জোর থাকত, তাহলে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হতো না। জনসমর্থন ও জনগণের ওপর আস্থা থাকলে, বিশ্বাস থাকলে তারা জনগণের কাছে যেত; বিদেশিদের কাছে দৌড়ে বেড়াত না। এটাই হলো বাস্তবতা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপিকে বাধা দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো বাধা দিচ্ছি না। আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন। যত আন্দোলন করবেন তত ভালো। কিন্তু পারে না তো। কী করব।
৫ বছর ধরে এরা আমাদের কাঁধে বোঝা আছে : বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট সংকট নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে বিস্তারিত তুলে ধরেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কথা জাতিসংঘ অধিবেশনে তুলে ধরেছি। আমাদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা নিজেরা আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, ড্রাগ ট্রাফিকিং হচ্ছে। আবার কেউ কেউ নৌকায় উঠে মালয়েশিয়া যাবে বলে মাঝপথে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়গুলো ভালোভাবেই তুলে ধরেছি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কতটুকু ফেরত যেতে পারবে, সেটাই হলো সব থেকে বড় কথা। আজকে পাঁচটা বছর এরা আমাদের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে। তাছাড়া যে বৈদেশিক সহযোগিতা আসত, সেটাও অনেকটা সীমিত হয়ে এসেছে। যেহেতু তাদেরকে মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি, আশ্রিত যারা তাদের তো আমরা ঠেলে দিতে পারি না। শুধু জাতিসংঘ কেন? আসিয়ান দেশগুলোও কম চেষ্টা করেনি। অন্যান্য দেশও করেছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা করছি। তাদেরকেও বলছি, আপনাদের লোক আপনারা ফেরত নেন। মিয়ানমার সরকার সেখানে মিলিটারি রুলার, তারা তো কারও কথাই মানছে না। আমরা তাদের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যাচ্ছি না। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝাতে চেষ্টা করছি যে, তাদের দেশের মানুষ পরদেশে পড়ে থাকবে, এটা ভালো না। তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়া উচিত।
বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে : সংবাদ সম্মলনে বিশ্বের জ্বালানি সংকটের কথা চিন্তা করে সবাইকে সেভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, গ্যাস যতটুকু আছে তা ব্যবহার করছি। নতুন করে সন্ধানের চেষ্টা করছি। যেটুকু পারি আমরা চালাচ্ছি। উন্নত দেশগুলোর মানুষের যে দুরবস্থা, সেখানকার মানুষ সব থেকে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের দেশেও সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন থেকে সবাই প্রস্তুত হন চেরাগ জ্বালিয়ে চলতে হবে। হাঁড়িতে কাঠখড়ি পুড়িয়ে রান্না করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে মঞ্চে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন। সংবাদ সংবাদ পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়