সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

বিব্রত প্রশাসন : ইউএনও ট্রফি ভাঙায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় আবাসিক জুনিয়র একাদশ ও রেপারপাড়া বাজার একাদশ দল মুখোমুখি হয়। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলায় সমাপনী বক্তব্যে এবং পুরস্কার বিতরণ করার একপর্যায়ে ইউএনও জনসাধারণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলেন। এতে উপস্থিত দর্শকরাও ইউএনওর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর আগেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সবশেষ আলীকদমের ইউএনও এমন ঘটনা ঘটালেন।
এসব বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরাও আপনাদের মতো গত শনিবার বিষয়টি জেনেছি। বান্দরবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনারা জানেন যে, এরই মধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই।
আলীকদম ইউএনওর কর্মকাণ্ডকে অপরাধ মনে করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার পক্ষে মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা ইসলাম) দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সেটাও তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, আশা করি আজকের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব। প্রত্যেক জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এ কমিটিগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোথাও কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে আপনারা যেমন বিব্রত হন, আমরাও হই। আমরাও চাই এ ধরনের ঘটনা না ঘটুক। আমরা বান্দারবানের আগে পেছনে কী ঘটনা ছিল সেটি কিন্তু জানি না। সুতরাং প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এটি বলা যাবে।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান খাতা দেখাদেখির কথিত অভিযোগে ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দায় সরকার নেবে কিনা- জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যদি ব্যক্তির দায় থাকে, তাহলে তো সরকার দায় নেবে না। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে যদি কমপেনসেট (ক্ষতিপূরণ) করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা করবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়