কাগজ প্রতিবেদক : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে একশ্রেণির সা¤প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দু-মুসলমান সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। গত বছর কুমিল্লায় সে ধরনের এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছিল। এ বছর যাতে সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, দুর্গাপূজায় যাতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় থাকে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্স মিলনায়তনে স্বনামধন্য মিউজিক কোম্পানি সংগীতার আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পূজো আসে’র প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগীতবিষয়ক পত্রিকা সারেগামার সিনিয়র সম্পাদক ও উপদেষ্টা রওনাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাত্তরের শব্দসৈনিক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীতার প্রধান উপদেষ্টা খায়রুল হাসান। মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কণ্ঠশিল্পী অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।
কে এম খালিদ আরো বলেন, আগে ঈদ ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যার হিড়িক পড়ে যেত, যা এখন তেমন দেখা যায় না। তাছাড়া বিভিন্ন অডিও কোম্পানি এ উপলক্ষে বিভিন্ন গানের অ্যালবাম বের করত। সেসব কোথায় হারিয়ে গেল।
তিনি বলেন, এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার প্রতিমা তৈরি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। যে কোনো ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং তা সব ধর্মেই রয়েছে। এটি মূলতঃ বিশ্বাস ও সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়। প্রতিমন্ত্রী এ সময় ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পূজো আসে’র বহুল প্রচার ও সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ‘পূজো আসে’ গানটির কথা লিখেছেন প্রসেনজিৎ পূজা ওঝা। সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন এ বাবুল। গানটিতে মডেল হয়েছেন শান্তা পাল, রিয়া বর্মন, রাইসা, আরাফাত, দেবদীপ এবং এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী।