সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ১৪ দল

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহত ২৫, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক : করতোয়া তীরে শোকের মাতম

পরের সংবাদ

চুল কেটে প্রতিবাদ : ছাত্রীদের খেলতে না দেয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কাবাডি দলের ছাত্রীদের বকাঝকা, চুল ধরে টানাটানি ও খেলতে না দেয়ার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া হয়েছিলেন স্কুলের শরীরচর্চার শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন। কাবাডি দলের ছাত্রীরা ফ্রেঞ্চ স্টাইলে বেণি করার কারণে চুল ধরে টানাটানি করার অভিযোগ ওঠে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কমিটি। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা। গত শুক্রবার রাতে এ তদন্ত কমিটি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) আবু রায়হান দোলন। গতকাল শনিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কমিটির প্রধান ফরিদুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, ঘটনাটি সরজমিন তদন্ত করার জন্য চট্টগ্রামের জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে যেন কোনো ইস্যু তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
চুল ফ্রেঞ্চ বেণি করায় কাবাডি দলের ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের বকা, অপমান ও চুল ধরে টানাটানির প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করেন শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন। এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও লিখেন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নিজের মাথা ন্যাড়া করা একটি ছবি পোস্টও করেন জাহিদা। জাহিদা পারভীন ভোরের কাগজকে বলেন, থানাপর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রীর একটি কাবাডি দল গঠন করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যাচ ছিল। কাবাডির নিয়ম অনুযায়ী চুলে ক্লিপ লাগানো যায় না। চুল চোখের সামনে চলে আসায় মেয়েদের খেলতে অসুবিধা হয়। এ কারণে তারা ফ্রেঞ্চ স্টাইলে বেণি করে। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের একদিন আগে অংশগ্রহণকারী দলের ছবি তুলে কো-অর্ডিনেটরের কাছে জমা দিতে হয়। ছাত্রীদের মাঠে নামানোর আগের দিন (৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রীদের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ছবি তোলার জন্য ছাত্রীদের জার্সি পরে তৈরি হতে বলি। তারা বেণি করে জার্সি পরে তৈরি হয়। এর মধ্যে আমি টয়লেটে যাই। সেখান থেকেই আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। টয়লেট থেকে বের হয়ে শুনি- প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রীদের বকাঝকা করেছেন। কয়েকজন ছাত্রীকে চুল ধরে মারধর করেছেন। তখন দুই মেয়েকে কান্নাকাটি করতে দেখি। প্রধান শিক্ষিকাকে জানাই যে, আমি ছাত্রীদের বেণি করতে বলেছি। এ কথা শুনে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে ছাত্রীদের সান্ত¡না দিই। প্রধান শিক্ষিকার কারণে খেলার দিন আমরা নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে পৌঁছাতে পারিনি। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেরি করিয়ে দেন। এ কারণে ম্যাচে অংশ নিতে পারিনি। এতে প্রতিপক্ষ ওয়াকওভার পেয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়