এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

বাফুফের আক্কেলজ্ঞান : এবার চেয়ারকাণ্ডে সমালোচনার ঝড়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাঠমান্ডুতে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ী মেয়েরা বিমানবন্দরে নেমেই ছাদখোলা বাসে অভিনন্দনে সিক্ত হতে হতে বাফুফের ভবনে পৌঁছায়। সেখানে সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনার প্রেস ব্রিফিংয়ে নারী ফুটবলাররা এবং কোচসহ কোচিং স্টাফরা দাঁড়িয়েছিলেন পেছনে। আর সামনে বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া সচিবসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা ও কোচের দাঁড়িয়ে থাকার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে। এসব ছবি দেখে বাফুফেকে অপেশাদার বলে সমালোচনায় মুখর হন ফুটবলপ্রেমীরা। সংশ্লিষ্টদের এমন কর্মকাণ্ডকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
বিষয়টি কেবল দৃষ্টিকটুই নয়, দুঃখজনকও। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে যারা দেশকে গর্বিত করেছেন, তারাই কিনা সংবাদ সম্মেলনে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে পেছনে। আর মঞ্চ দখল রাখেন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তা সামনের চেয়ারে বসেছিলেন। আর চ্যাম্পিয়ন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দাঁড়িয়েছিলেন তাদের পেছনে। সেখানে দাঁড়িয়েই তারা গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
যদিও সংবাদ সম্মেলনের শুরুটা হয়েছিল কোচ-অধিনায়ককে মঞ্চে বসিয়েই। পরে কর্মকর্তারা বেশি চলে এলে কোচ এবং অধিনায়ক উঠে গিয়ে তাদের জায়গা ছেড়ে দেন। তখন বাফুফে থেকে কোচ ও অধিনায়ককে মঞ্চে রাখার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
যাদের হাতে ধরে দেশ ও জাতি পেয়েছে সাফে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট সেই যোদ্ধারাই যখন পেছনের সারিতে চলে যান, সমালোচনা তো হবেই। হওয়া স্বাভাবিক। এ ঘটনা প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, এটা তো ফেডারেশন করেছে, আমরা প্রথমে যাইনি। আমরা পরে গিয়েছি। প্রথমে ফেডারেশন বসেছে। আমরা ছিলাম কাজী সালাউদ্দিনের রুমে। পরে আমাদের আবার খবর দিল। আমরা প্রথম যেতে চাইনি। পরে আমাদের যেতে বললো। পরে আমরা যাই, আমাদের জন্য আবার চেয়ার দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বসেছিল চেয়ারে। প্রথমে কিন্তু ওরা (সাবিনা, ছোটন) সামনেই ছিল।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সেটা আমি দেখেছি কিছু কিছু জায়গায় লিখছে। কিন্তু তারা ছিল আমাদের পেছনে দাঁড়ানো। ওরা প্রথমে বসে বক্তব্য রেখেছে। সাবিনা কিন্তু প্রথমে বসে বক্তব্য রেখেছে।
চেয়ারকাণ্ডে বাফুফেকে অপেশাদার বলে গতকাল যখন চারদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় তখনই সাবিনা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পাশে বসে মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলছেন সাবিনা। অধিনায়ক সাবিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানীর কাছে প্রশ্ন রাখেন সংবাদকর্মীরা। গোলাম রব্বানী তখন ভিড়ের মধ্যে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার কথা বলার সুবিধা করে দিতে সাবিনা ‘স্যার, আপনি এখানে আসেন’ বলে নিজের চেয়ার ছেড়ে পেছনে দাঁড়ান। গোলাম রব্বানী ছোটন এসে সাবিনার চেয়ারে বসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। পরে একসময় অবশ্য অধিনায়ক ও কোচকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সাবিনা টিভি চ্যানেলের এই ফুটেজ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার বিনীত অনুরোধ, এটাকে কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন না। নেতিবাচক চোখে দেখে দয়া করে আমাদের জীবনের সেরা দিনটি নষ্ট করবেন না। আসুন সবাই ইতিবাচক হই এবং উপভোগ করি। শুধু বলতে চাই, আমরা আপনাদের ভালোবাসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়