করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রেলপথ : ব্রিজের পিলারে ফাটল ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ থেকে : বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ব্রিজ-কালভার্টের অধিকাংশ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এর সঙ্গে পাবনার ভাঙ্গুরার বাউনজান এলাকার ২৫ নাম্বার রেলব্রিজের অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে ৪২টি ট্রেন (২১টি ট্রেন য়ায় এবং ২১টি ট্রেন আসে)। ব্রিটিশ আমলে তৈরি মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব ব্রিজ ও কালভার্ট পার করেছে শত বছর। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরনো হলেও ঝুঁকিপূর্ণ নয় এই রুটের রেল সেতু। ইতোমধ্যে ২৫ নাম্বার রেল ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ব্রিজের নিচে বন্যার পানি থাকায় সংস্কার কাজ সাময়িক স্থগিত রয়েছে। বন্যার পানি সরে গেলে পুনরায় সংস্কার করা হবে এই সেতু।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈশ্বরদী রেলপথের ২৫ নাম্বার রেল সেতু প্রায় ১২০ বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সীমান্ত এলাকায় নির্মিত হয়। চলনবিলের একটি শাখা নদীর উপর নির্মিত ২৫ নাম্বার সেতুর সবকটি পিলারে রয়েছে একাধিক ক্ষত। একটি পিলারের ইট সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভারবহনে পিলারের দুই পাশে লোহার এঙ্গেল দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। সেতুর পিলারে ইটের গাঁথুনিতে ফাটল দেখা দেয়ায় ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে লাল পতাকা উড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ট্রেনের গতি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০৫ বছরের স্থায়িত্বকাল ধরে নির্মিত এই সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় ১৫ বছর আগে।
সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনার গফুরাবাদ পর্যন্ত ৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নিয়ন্ত্রণ করে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে। প্রতিদিন এই রেলপথ দিয়ে আসা যাওয়া করে ৪২টি ট্রেন। ২৫ নাম্বার সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এই রেলপথে। সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুর রহমান বলেন, ২৫ নাম্বার ব্রিজের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ট্রেন পড়ে যাওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সংস্কার কাজের জন্য ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যেখানে কাজ চলমান থাকে সেখানেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কারণ প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক এখানে কাজ করে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো সম্ভবনা নাই। সব কিছু ভালোই আছে। বন্যার মৌসুম শেষ হলে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, প্রত্যেকটি ট্রেন ২৫ নাম্বার পিলারের কাছে এসে ১-২ মিনিট স্লো করে। স্লো করার কারণে ২৫ নাম্বর ব্রিজ এলাকায় রাতে টহল পুলিশের ব্যবস্থা করেছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল বলেন, ২৫ নাম্বার ব্রিজটি আমাদের নজরদারীতে আছে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ভেবেই আমরা সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এখন যে পর্যায়ে আছে তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ব্রিজের নিচে বন্যার পানি রয়েছে। যে কারণে সংস্কার কাজ সাময়িক বন্ধ আছে। পানি সরে গেলে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়