করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন : নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিশ্রæতি মেনে বাংলাদেশে কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ বন্ধসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পরিবেশকর্মীরা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০২১ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রæতি পূরণের এক বছর পূর্তিতে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এ দাবি তোলেন। বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই-বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনাবিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি)-এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চীন শুধু বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্রই নয়, বরং বাংলাদেশের উন্নয়নে বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া চীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাতা দেশও। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীনা কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে জানায় যে, বাংলাদেশে কয়লানির্ভর বিদ্যুতের মতো বায়ুদূষণকারী খাতে আর কোনো বিনিয়োগ করবে না। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে বহির্বিশ্বে নতুন কোনো কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি না করার ঘোষণা দেন। কিন্তু চীনা ব্যাংক ও কোম্পানিগুলো এখনো পটুয়াখালীর পায়রায় আরো একটি কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে।
সমাবেশে বিডব্লিউজিইডির সদস্য সচিব হাসান মেহেদী, আইএসডিই-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, বিশিষ্ট কলামিস্ট মুসা খান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের নেতা সুচিত্রা গুহ টুম্পা, মানবাধিকার সংগঠক ওসমান জাহাঙ্গীর, সিএসডিএফের শম্পা কে নাহার, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিডব্লিউজিইডির সদস্য সচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে- যা দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে পারে। ইতোমধ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মুজিব জলবায়ুসমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চীনের সহায়তা পেলে সরকার খুব দ্রুত এ পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে। আইএসডিই-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, কয়লা বিদ্যুতের ফলে পরিবেশ দূষণসহ বিদ্যুতের মূল্য বেড়ে যাবে। তাই এ খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই, চীনের উচিত প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রæতি মান্য করে কয়লা খাত থেকে সব ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়