মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

বিএনপি নেতা বুলু-তাবিথ পৃথক হামলায় আহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। কুমিল্লার বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুলুকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে ভোরের কাগজকে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিকে, রাজধানীর বনানীতে মোমবাতি প্রজ¦লন কর্মসূচি শেষ করে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল। গুরুতর আহত তাবিথকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওইসময় আরো আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেকেই। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা এখন বাসায় রয়েছেন।
জানা গেছে, মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু সস্ত্রীক আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন। বুলুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলায় আরো আহত হয়েছেন বিপুলাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন।
বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান সানিয়াত বলেন, নোয়াখালী থেকে ফিরে আসার পথে হামলায় মা ও বাবা দুজনই গুরুতর আহত হয়েছেন। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দেড়শ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এ হামলা

করেছে। ওপর লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। এতে বাবার মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, তার ডান হাতও ভেঙে গেছে। বাবার সঙ্গে থাকা চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মোস্তফা, রাজু, ফারুক, গাড়িচালক আলী।
অন্যদিকে, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয় শেরাটনের সামনে বিএনপির মৌন অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। একই সময় কাকলী মোড়ের কাছে অবস্থান নেয় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে বিএনপির কর্মসূচির পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত মৌন কর্মসূচি শেষ করা হয়। রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরই অপেক্ষারত একদল তরুণ জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। পরে হামলা চালায় বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বিএনপির নেতাদের ওপর। হামলায় তাবিথ আউয়াল গুরুতর আহত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলের তিন কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বনানীতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। বনানীর কাকলী থেকে গুলশান-২ নম্বর গোলচক্কর পর্যন্ত সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টার বেশি সময় আগে রাস্তায় জড়ো হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
হামলায় আহত হওয়ার পর সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার অপরপাশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিছিল করছিল। কিন্তু যখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন অপরপাশ থেকে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নারী কর্মীরাও আহত হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত তাবিথ আউয়াল ঢাকা সিটি উত্তর করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এভাবে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা হতে পারে মাথায়ই আসে না।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট ভোলায় পুলিশের গুলিতে বিএনপির দুজন নেতাকর্মী নিহত হন। এরপর ২২ আগস্ট থেকে টানা কর্মসূচি শুরু করে দলটি। এরমধ্যে ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে একজন কর্মী নিহত হওয়ার পর ঢাকার ১৬টি জায়গায় ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ¦লন কর্মসূচি পালন করে দলটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়