মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

জেলা পরিষদ : ভোটযুদ্ধে দুই স্ত্রী প্রথমজন পেলেন ‘তালাক’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দুই স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন চেয়ারম্যান রেজাউল হক।
তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হকের ছোট ভাই। স্ত্রীকে তালাক দেয়ার বিষয়ে গত শুক্রবার তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় রেজাউল হক তার নিজ কার্যালয়ে ইউপির সাধারণ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার বিষয়টি জানান।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাছিমা ও ফিরোজা দুজনই সক্রিয়ভাবে প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে রেজাউল নাছিমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলেন। তবে নাছিমা অনড় থাকায় রেজাউল তাকে তালাক দেন।
রেজাউল হকের প্রথম স্ত্রী নাছিমা বিবি মাড়িয়া ইউনিয়নের শিকদারী এলাকায় রেজাউল হকের নিজস্ব বাড়িতে থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাগমারা উপজেলা পরিষদের ভবানীগঞ্জের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে দুজনের কাউকেই সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বাগমারা, মোহনপুর ও দুর্গাপুরে সংরক্ষিত সদস্য পদে সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যানের দুই স্ত্রী নাছিমা বিবি ও ফিরোজা খাতুন প্রার্থী হয়েছেন। অন্য পাঁচ প্রার্থী হলেন)- পারুল বিবি, সুলতানা পারভীন, রাবেয়া খাতুন, লাল বানু ও নারগিস বিবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে নাছিমা বিবি সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। পরে রেজাউল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা খাতুনের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাছিমা ও ফিরোজা দুজনই সক্রিয়ভাবে প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে রেজাউল নাছিমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলেন। তবে নাছিমা অনড় থাকায় রেজাউল তাকে তালাক দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রেজাউল হক তার নিজ দপ্তরে ইউপির সাধারণ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ডাকেন। এ সময় তিনি প্রথম স্ত্রী নাছিমা বিবিকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। এসংক্রান্ত কাগজপত্র তিনি উপস্থিত লোকজনকে দেখান। তার মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলে উপস্থিত লোকজনকে জানান রেজাউল। পরে রাতে তিন তালাকের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার সকালে রেজাউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। নাছিমা বিবি মুঠোফোনে বলেন, তিনি তালাকের বিষয়টি শুনেছেন। তবে এখনো কোনো কাগজ পাননি। তিনি বর্তমানে স্বামীর বাড়িতেই আছেন এবং সেখানেই থাকবেন। নির্বাচন থেকেও তিনি সরে দাঁড়াবেন না। জয়-পরাজয় ও ভোটের ব্যবধানই প্রমাণ করবে কোন স্ত্রী কেমন জনপ্রিয়।
এদিকে নাছিমার প্রতিদ্ব›দ্বী ফিরোজা খাতুনের মুঠোফোনেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি সাড়া না দেয়ায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়