মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

মশিউর রহমান রাঙ্গা : অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার চাই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আমি আমার অব্যাহতির আদেশে অখুশি নই। আমি চাই দল না ভাঙুক। এরশাদ না থাকার কারণে জি এম কাদের রওশন এরশাদের সঙ্গে বসে

মীমাংসা করুক। এজন্য যদি আমাকে দল থেকে মনোনয়নও না

দেয়া হয় তাতে আমি কষ্ট পাব না। বহিষ্কার (অব্যাহতি) আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো আর দলে থাকা যায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা থেকে সরাতে স্পিকারকে চিঠি দেয়াটা অন্যায় হয়েছে। এটা আমি একটা গণমাধ্যমে বলায় উনি (জি এম কাদের) আমাকে প্রেসিডিয়াম থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকে সরাতে একটা এজেন্ডা দিতে হয়। জি এম কাদের সভাপতি, তিনি এই চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন। তা না করে আমাকে বললেন, তুমি স্বাক্ষর করে দাও, আমি শুধু তার কথা পালন করেছি।
তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেবে তা কখনো হতে পারে না। সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক উপায়ে যদি জাতীয় পার্টি চলতে না দেয়া হয়, তাহলে আমি এই দলের সঙ্গে আর থাকব না। অন্য কোনো দলও করব না। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গেই থাকব।
রওশন এরশাদকে মায়ের থেকেও বেশি শ্রদ্ধা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদীয় বিরোধী দলের নেতা থেকে তাকে সরানোর চিঠিতে বিরোধীদলীয় চিফের স্বাক্ষর আমি করেছি। আমাকে যা বলা হয়েছে তাই করেছি। আমি শক্ত অবস্থানে থাকলে আমাকে চিফ হুইপ থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
সংসদে আমাদের বেশি আসন ছিল রংপুরে। আমি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম, রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে আমি যদি ২১ আসন আপনাকে এনে দিতে না পারি তাহলে আমি দল করব না, অবসরে চলে যাব। আমাকে শুধু দায়িত্ব দেন। জি এম কাদেরের সঙ্গে সারাদিন মৌমাছির মতো কিছু লোক থাকে আর কুপরামর্শ দেয়।
জাতীয় পার্টি বিএনপির দিকে ঝুঁকছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম ও কো-চেয়ারম্যান আছেন, তারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা সিট ভাগাভাগি করে আসছিলাম। এরশাদও তাই করেছেন। ইদানিং আমরা লক্ষ্য করছি, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজসহ সব কিছুতেই বিরোধী দলের আপত্তি। আমাদের একজন মহিলা এমপিকে ডেকে দলের একজন বলেছে, যদি তুমি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যাও তাহলে তোমাকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। আমি তার নাম বলব না। উপরে থুতু ফেলতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, একটা দল যদি আটবার ভাঙে তাহলে সেই দলে কি অবস্থা বিরাজ করে। আমার মনে হয় আগামী দিনে দুটি দল বাদে আর কোনো দল থাকবে না। কোনো দুটি দল তা আমি বলব না, জাতীয় পার্টি তার মধ্যে নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়