গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : নেত্রকোনার সেই খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা। পলাতক খলিলুরের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। রায়ের পর প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, খলিলুরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। পাঁচটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে। চারটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে রাজনৈতিক গ্রুপকে গণহত্যার দায়ের বিষয়টি রয়েছে, যা প্রথম। অন্য একটি অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শুরুর দিকে এ মামলায় পাঁচজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাকি চারজনের মধ্যে দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আসামি খলিলুর রহমানের ভাই আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণচেষ্টা, অপহরণ করে দুজনকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন, ১৪ থেকে ১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাত বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পরে দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। সর্বশেষ তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়