মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

ব্যয় বাড়লেও ক্রয়াদেশ কমেছে : শহিদ উল্লাহ আজিম সহসভাপতি, বিজিএমইএ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাকের ক্রয়াদেশ আশঙ্কাজনক হারে কমিয়ে দিচ্ছেন। কয়েক মাসে গড়ে ৩০-৩৫ শতাংশ রপ্তানি আদেশ কমে গেছে। আবার দেশে জ¦ালানির দাম বাড়ানোসহ নানা কারণে পোশাকশিল্পে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এর বিপরীতে পোশাকের দাম বাড়ায়নি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো, উল্টো ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে পোশাকশিল্প আবারো সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গতকাল সোমবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পণ্য জাহাজীকরণে এক ঘণ্টা দেরি হলে ক্রেতারা মানতে চায় না। ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে যে আস্থার অবস্থান তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের, তাতে ঘাটতি তৈরি হবে।
তিনি বলেন, গত জুনে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০০ কোটি ডলারের বেশি। জুলাই মাসে তা নেমে দাঁড়ায় ৩৩৭ কোটি ডলারে। আগস্টে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত দুই মাসে রপ্তানি আয় কমেছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) পণ্য ক্রয়াদেশ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, যুদ্ধের কারণে ইউরোপ আমেরিকার ক্রয়াদেশ কমে যাচ্ছে। তারা ফ্যাশনের চেয়ে খাদ্যপণ্যের প্রতি বেশি আগ্রহী। মূল্যস্ফীতির জন্য বায়ার কম। পাশাপাশি জ¦ালানি, বিদ্যুতের কারণে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকটে জেনারেটরগুলো বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে বার বার জেনারেটর নষ্ট হচ্ছে। সেগুলো ঠিক করতে হচ্ছে। এভাবে পণ্যের খরচ বাড়ছে, বাড়ছে সময়ও। এমনিতেই বিশ্ববাজারে মন্দা, তার উপরে অভ্যন্তরীণ এসব সমস্যার কারণে অনেক ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে বার বার সরকারের দ্বারস্থ হয়েছি। বার বার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ যুদ্ধ কতদিন চলবে, তা আমরা কেউ জানি না। বিদ্যুতের সমস্যা যা হচ্ছে, গ্যাসের সমস্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। গ্যাসের সংকটে ডায়িং, স্পিনিং সব বন্ধ থাকে। জ¦ালানি তেলের দাম বাড়াতে কন্টেইনার ও পরিবহন খরচ অনেক গুণ বেড়েছে। যে পণ্য পরিবহনে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন তা লাগছে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই এরা ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। দেখার কেউ নেই।
তিনি আরো বলেন, সেবামূলক যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই টাকা দিয়ে কাজ করতে হয়। এটা একটি বড় সমস্যা। আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এনবিআর। বিভিন্ন অজুহাতে তারা সময় নষ্ট করে। ‘নিজস্ব’ দাবি করে। আমাদের রাজস্ব দিতে সমস্যা নেই, কিন্তু ‘নিজস্ব’ দিতে সমস্যা আছে। এতে সরকারেরও লাভ হয় না, আমাদেরও লাভ হয় না। সরকারকে এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলোয় বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। সেই সঙ্গে আমাদের আরেকটি অনুরোধ, আমাদের উৎসেকর, যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি আগের বছরের মতো একই পর্যায়ে রাখা হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়