গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সর্বশেষ ঢাকা সফরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে যে পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল- সেটিই নতুন অবয়বে আবার ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য শেষ হওয়া নয়াদিল্লি সফরে। এরফলে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বে থাকা রাজ্যগুলোর সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ শুধুমাত্র উত্তর-পূর্বের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে না; বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তর-পূর্বে সাতটি রাজ্য রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় ‘সেভেন সিস্টার্স’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন সাত রাজ্যের সঙ্গে ‘সিকিম’কে জুড়ে দিয়ে আট রাজ্যকে একসঙ্গে মিলিয়ে ‘অষ্টলক্ষী’ নামে অভিহিত করেছেন। সেভেন সিস্টার্সে থাকা ভারতের রাজ্যগুলো হচ্ছে- আসাম, মনিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল। বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম অঞ্চল সীমান্তে এসব রাজ্যের অবস্থান।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ২০১১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে তার সফরসঙ্গী হিসেবে উত্তর-পূর্বের চারটি সীমান্তবর্তী রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা ছিলেন। ওই রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের ঢাকায় উপস্থিতি তখন দুই দেশের সম্পর্কে আলাদা মাত্রা এনেছিল। সেই সফরের ১১ বছর পরে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে প্রতিবেশী সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যগুলোর সংযোগসহ নানা ইস্যুতে ক্ষেত্র বাড়াতে পারলে দুই পক্ষেই বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক জাগরণের সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দুই অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলে, চা শিল্প ছাড়া বেশকিছু খনিজ পদার্থ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, বাঁশ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পর্যটন ও পরিষেবার ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়বে। তবে সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ

কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারত সফরকালেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দিল্লির বাংলাদেশ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছিলেন, ওই রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়ন লাভজনক। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গত মে মাসে গুয়াহাটি সফরকালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাকে বলেন, শেখ হাসিনাকে আমার অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। মোমেন জানতে চেয়েছিলেন কেন- এর উত্তরে হিমন্ত বলেন, শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স ফর টেরোরিজম নীতির ফলেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে আজ শান্তি ও উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যবসা ও বিনিয়োগের। নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে উঠছে। এটা সম্ভব হয়েছে ‘শেখ হাসিনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও বাংলাদেশ নট এ হাব অব টেরোরিস্ট’ ঘোষণার পর থেকেই।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তারা এসেছিলেন। ওই সময়ই ভারতের উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর দেশটিতে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় ওই আলোচনাটির আর ফলোআপ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরে বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে এবং তা বাংলাদেশের জন্য ভালো হয়েছে। এছাড়া ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপিও চায়, উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে। সবমিলিয়ে পুরো বিষয়টি বাস্তবায়ন হলে দুই পক্ষেরই লাভ হবে বলে মনে করেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা বেশ কয়েকবছর ধরেই চলছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যোগাযোগের স্বল্পতা। দিল্লির আইটিসি মৌর্য্য হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্যুটে ভারতীয় মন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডির সঙ্গে অনুষ্ঠিত ৭ সেপ্টেম্বরের ওই বৈঠকে সেই বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিষেন রেড্ডিকে বলেন, আঞ্চলিক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা যত বেশি সফর করবেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা তত দ্রুত বাড়বে। জবাবে কিষেন রেড্ডি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মোদি আন্তরিকভাবেই বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। তেমন হলে মন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম বাংলাদেশ সফর করবেন। দিল্লির ওই আলোচনায় কিষেন রেড্ডি সীমান্ত হাট চালুরও প্রস্তাব করেন। ভারতের পাঁচ সীমান্তবর্তী রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে দুই দেশের মোট ৭০টি স্থান সীমান্ত হাটের জন্য চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি তিনি স্থলবন্দরে বাধা দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। বৈঠকে কিষেন রেড্ডি আগরতলা-আখাউড়া রেললাইন নির্মাণ ও সংলগ্ন সমন্বিত চেকপোস্ট তৈরির জটিলতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ভারতের অর্থায়নে পুরো প্রকল্পটি তৈরি হলেও বাংলাদেশের দিকে কাজে ধীরগতির কারণে প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে না। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে গোটা এলাকার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন। বৈঠকে কিষেন রেড্ডি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল চা চাষে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ এখান থেকে চা আমদানিতে আগ্রহী হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহুলাংশে বাড়বে। দুই দেশই তাতে উপকৃত হবে। চা ছাড়া বেশকিছু খনিজ পদার্থ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, বাঁশ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পর্যটন ও পরিষেবার ক্ষেত্র রয়েছে। তবে সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশ কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাত মুখ্যমন্ত্রী ঢাকা সফর করলে তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচনে সাহায্য করবে। পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কও দৃঢ় হবে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা কূটনৈতিক ধারাভাষ্যকাররা বলছেন, বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিশেষ করে আসামে শান্তি প্রক্রিয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এখন বাংলাদেশের দাবি পূরণের পথ প্রশস্ত করা উচিত। তাতে কানেক্টিভিটি, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য, পারস্পরিক আস্থার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের ভালো স্বার্থ নিশ্চিত হবে। লাভবান হবে দুই পক্ষই।
নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, ত্রিপুরার মানিক সরকার, মেঘালয়ের মুকুল সাংমা এবং মিজোরামের লাল থানহাওলার ঢাকায় উপস্থিতি ড. মনমোহনের সেই সফরকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছিল। কারণ এটি ভারতের উত্তর-পূর্বকে সংযুক্ত করার জন্য বহু কাক্সিক্ষত বাণিজ্য এবং সংযোগের জন্য সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল। পাশাপাশি ভারতের বহুল আলোচিত ‘লুক ইস্ট’ নীতিতেও সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। তবে উত্তর-পূর্বের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ বলে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে। এজন্য বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরটিকে ভারত ব্যবহার করতে পারবে জানালেও দেশটি এখন পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে তা শুরু করেনি।
মনমোহন সিংয়ের ওই সফরে সরকার, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে তাদের মতবিনিময়ের সময় ঢাকা সফরে আসা উত্তর-পূর্বের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সংযোগ বাড়াতে চেয়েছিলেন। তারা যৌথ উদ্যোগের শিল্প প্রকল্প এবং পর্যটন প্রচারের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এমন প্রস্তাবের পর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কাজও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাজগুলোর আর বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আবার সেটি নিয়ে পুরোদমে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সম্পদ ব্যবহার করতে, সার কারখানার মতো কৃষিভিত্তিক শিল্প এবং গ্যাসভিত্তিক ইউনিট স্থাপন করতে পারেন। পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতে ত্রিপুরায় বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশের একটি সম্ভাব্য কেন্দ্র হতে পারে। এছাড়া কম পরিবহন খরচের কারণে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাওয়া যাবে।
মেঘালয়ের সে সময়কার মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্বের মধ্যে বহু সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি উদ্বেগও আছে। তবে ফলপ্রসূ সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্বেগ কাটিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যাবে। আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা শুধু রাস্তা এবং পরিকাঠামোর সংযোগই চাই না, আমরা মনের সংযোগও চাই। আজ থেকে দশ বছর আগেই তিনি ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসামের (উলফা) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে এখন শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সফরে আসা চার মুখ্যমন্ত্রীই সব ক্ষেত্রে ‘সেভেন সিস্টার্স’ এর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন এবং স্থলবন্দর বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশেও সহযোগিতা চেয়েছিলেন তারা।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, দশ বছর আগে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের জন্য সীমান্তবর্তী রাজ্যে স¤প্রচার নিশ্চিত করার আশ্বাস ছিল; তেমনি সদ্য শেষ হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরেও এর আশ্বাস মিলেছে। দ্বিপক্ষীয় পর্যটনের উন্নয়নে প্যাকেজ ট্যুরের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
দশ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ড. মনমোহন সিং এটিকে ‘একটি বিশেষ মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং এটি নিজেদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য আমাদের সম্মিলিত ইচ্ছার একটি প্রদর্শন বলে জানিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিও এবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে ফিরে এসেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ বিষয়ে বলেন, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ভাষা, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ধর্মের দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক কখনোই বিশেষভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ বা ঝামেলামুক্ত ছিল না। এখন রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীলতা এসেছে। এ অবস্থায় আমরা ভারতের উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চাইছি। এ কারণে মুখ্যমন্ত্রীদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়