৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

সরগরম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইফুল ইসলাম : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না। কারণ, রাজনীতি করা মানুষের অধিকার। স¤প্রতি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গতকাল বুধবার ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০২২-২৩ এর অধীন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চেক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজধানীর পলাশীতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) এ চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না। কারণ, রাজনীতি করা মানুষের অধিকার। কিন্তু দলীয় রাজনীতি কীভাবে হবে, সেখানে রাজনীতি যারা করবেন, সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বোঝাপড়া, সৌহার্দ্য থাকা উচিত। তবে আমরা চাই, দলীয় রাজনীতির নামে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা না হয়। তিনি আরও বলেন, যদি ইতিবাচক রাজনীতি থাকে, আমার মনে হয় না প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোনো আপত্তি থাকবে।
প্রসঙ্গত, স¤প্রতি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ব্র্যাক, ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
কমিটি ঘোষণার পরই প্রতিক্রিয়া দেখায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই বলে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে নোটিশ জারি করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ ট্রাস্টিদের টাকায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। সরকার সেখানে এক টাকাও দেয় না। সঙ্গত কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানে তাদের মতামত প্রাধান্য পাওয়া উচিত। ট্রাস্টিদের চাওয়া, তাদের ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত হোক। এখন সরকার ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র রাজনীতির অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এমএম শাহিদুল হাসান। অন্যান্য

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নোটিশের মাধ্যমে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মুশফিকুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিমুক্ত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো রাজনৈতিক দলের স্থান নেই। শুরু থেকেই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ রেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসছে।
এদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান এবং তারা কোনো রাজনৈতিক ক্লাব বা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের, নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো ক্লাব বা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া কিংবা সংগঠন করতে পারার স্বাধীনতা তার আছে।
আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী বলেন, অনেকে অভিভাবক এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সংঘর্ষ-মারামারি হবে। তা ছাড়া আমি মনে করি না এর প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য খুব একটা ভালো হবে। সে জন্য এ বিষয়ে আরেকটু চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়