৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

জাতীয় কৃষক সমিতির প্রতিবাদ : বানিশান্তায় সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুত করার চক্রান্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। তারা সংশ্লিষ্ট ৭টি গ্রামের হাজারো সংখ্যালঘু পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করারও নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কৃষিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন ১ ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে সেখানে একটা তরকারি গাছ বা মরিচ গাছ লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ও কৃষিক্ষেত্রে সরকারের নীতি জনমনে আশা সঞ্চার করলেও বিভিন্ন প্রকল্পে যেভাবে কৃষিজমি গ্রাস করা হচ্ছে, তা আশঙ্কাজনক। কৃষিজমি ধ্বংসের এ প্রক্রিয়ায় শামিল হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। স¤প্রতি মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদ ড্রেজিং করতে মোংলাবন্দর ইনারবার ড্রেজিং নামে একটি প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য পশুর নদে ড্রেজিং করা মাটি ফেলার জন্য ১ হাজার একর জমি হুকুম দখলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি, উর্বর কৃষিজমি। বানিশান্তা, আমতলা, ভোজনখালী, ঢাংমারী ও খাজুরা গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবার তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য সম্পূর্ণরূপে এ কৃষি জমির ওপর নিভর্রশীল। এ জমিতে ড্রেজিংয়ের মাটি ফেললে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হবে হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার। বস্তুত তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করার নামান্তর মাত্র।
নেতারা বলেন, ২০২২ সালের শুরুতে খুলনা জেলা প্রশাসন

বানিশান্তা এলাকার ২৫০ জন কৃষিজমির মালিককে হুকুম দখলের নোটিস দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার কৃষিজমির মালিকরাসহ অন্য কিষান-কিষানিরা আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দেন। তারও আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর বানিশান্তা ইউনিয়ন ভূমি অফিস জানিয়ে দেয় যে বানিশান্তায় মাটি ভরাট করা হলে জনরোষের আশঙ্কা রয়েছে। কিষান-কিষানির সব অভিযোগ ও মতামত উপেক্ষা করে বানিশান্তার ৩০০ একর কৃষিজমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া শেষ করেন খুলনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক।
নেতারা বলেন, জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নয়, তাদের যৌক্তিক দাবিকে মেনে নিয়েই ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার সংকটকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এলাকার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক, আন্দোলনরত কিষান-কিষানি ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়ে অকৃষি জমি রয়েছে এমন বিকল্প স্থান যেন ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার জন্য বেছে নেয়া হয়। তারা অবিলম্বে খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়