ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

সে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না : পরিবার > শাওনের রাজনৈতিক পরিচয় কী?

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গুলিতে নিহত নারায়ণগঞ্জের শাওনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে শাওন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকার একটি কারখানায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নিতে মহানগর যুবদলের সঙ্গে এসেছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহরে। সেখানে সংঘর্ষ হলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন

তাকে। বিএনপি শাওনকে নিজেদের সহযোগী সংগঠন যুবদলের মহানগর কর্মী হিসেবে দাবি করছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ বলছে, শাওন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা। তার পরিচয় নিয়ে তদন্ত চলছে। আর পরিবার থেকে বলা হচ্ছে, শাওন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় যুবদল নেতাদের ডাকে তিনি শহরে যান।
জানা গেছে, শাওনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকায়। তার মৃত্যুর পর দুপুর থেকে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ডোরাকাটা সাদা রঙের টি-শার্ট ও কালো জিনস পরিহিত শাওন মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন। শহরের ২ নম্বর রেলগেটের দিকে মিছিল নিয়ে আসার পথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শাওন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শাওনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল এক বিবৃতিতে দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে তিনি নিহত শাওনকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কর্মী উল্লেখ করে আজ শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ এবং বাদ জুমা নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে জেলা ও মহানগরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। আর আগামীকাল শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে সরাসরি নিজেদের কর্মী দাবি না করলেও সরকারি দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল সচিবালয়ে নিহত শাওনের পরিচয় নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে যিনি মারা গেছেন তিনি হলেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ও ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা। তার পূর্ণ পরিচয় তদন্তাধীন।
আর শাওন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় দাবি করে তার বড় ভাই ফরহাদ গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, শাওন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় যুবদল নেতাদের ডাকে সে শহরে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমরা জানতে পারি, শাওন গুলিতে নিহত হয়েছে। হাসপাতালে ফরহাদের মুঠোফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তির উদ্দেশে তিনি বলেন, মামাগো আমার নিরীহ ভাইটারে পুলিশ গুলি কইরা মাইরা ফালাইছে। ওর লাশটা একা হাসপাতালে পইড়া আছে। কেউ নাই ওর লগে। হাজার মানুষের লগে গুলি খাইলো মামা, সবাই ভাইরে রাইখা পলাইছে। আমার ভাই একা ডোমঘরে পইড়া আছে মামা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়