যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি

আগের সংবাদ

সংঘর্ষে চার জেলা রণক্ষেত্র : নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জ সিরাজগঞ্জ নেত্রকোনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

পরের সংবাদ

খরা ও যথাসময়ে হাওরের পানি না নামায় আমন চাষ ব্যাহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : অতি খরা এবং সময়মতো হাওর থেকে পানি না নামায় চলতি বছর আমন চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কিত সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষক। সময় মতো হাওরের পানি নামায় আমন চাষিরা যখন চরম হতাশায় ভুগছিলেনই ঠিক সেই সময় গত শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের আমন চাষিরা। তবে আমন চাষাবাদ নিশ্চিতে আগামী ১৫ দিনে আরো বৃষ্টিপাত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তা নাহলে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হবে। এ কারণে অনেক জমিতে চাষাবাদ নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অদিধপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ হাজার হেক্টর। অন্যান্য বছর এ সময়ে আমন চাষাবাদ থাকে শেষ পর্যায়ে। এবার খড়ায় পিছিয়েছে আমন চাষাবাদ। গত শুক্রবার রাত থেকে গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জে কিছুটা বৃষ্টিপাতের ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন কৃষকরা। বৃষ্টিপাতের ফলে আমন ধানের চারা রোপণ করতে জমিতে নামেন অনেক চাষি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা সালামপুর হাওরের বড় কৃষক আব্দুর রহমান জানান, তিনি এ হাওরে প্রতি বছর শতাধিক বিঘা জমি চাষাবাদ করেন। কিন্তু এ বছর এখনো পানি না নামায় চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, এক নাগারে ২০ দিনেরও বেশি খড়ায় মাটি শুকিয়ে গরম হয়ে আছে। দুদিনের বৃষ্টিতে খড়ার উত্তাপ কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় জ¦ালানি তেলের অতিরিক্ত দাম দিয়ে চাষাবাদ করার দুশ্চিন্তাও কিছুটা কমেছে হাওরবাসীর। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরের কৃষক মোহন মিয়া জানান, কৃষক টানা খড়ায় আমনের চারায় পোকা ধরেছিল। জমিতে রোপণ করা চারা মরতে শুরু করে। বৃষ্টিতে আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে পোকা কিছুটা ছাড়বে এবং বৃষ্টির পর অনেকে জমিতে সীমানা বাঁধ (আইল) দিতে নামেন তারা। আর দু’একদিন বৃষ্টি হলেই চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন তারা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন টিপু ভোরের কাগজকে জানান, পরিমাণে কম হলেও গত দু’দিনের বৃষ্টি আমনচাষে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তিনি আরো জানালেন, বৃষ্টিতে পোকা ছাড়বে। চাষাবাদও বাড়বে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা থেকে ৬০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি থাকবে। তবে পরিমাণে তা হবে কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়