করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ফের আড়াইশ ছাড়াল

আগের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে খুশি শ্রমিকরা

পরের সংবাদ

তিস্তায় বড় অগ্রগতির আভাস

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২২ , ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

** আলোচনায় নদীকেন্দ্রিক সীমান্ত সমস্যাও ** বরফ গলার কথা বললেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী **

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য : মৌসুম অনুযায়ী নদীতে যখন যে পরিমাণ পানি থাকবে, সেই ইস্যুকে ধারণ করে তিস্তা চুক্তির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ও ভারত। শুধু তিস্তা নয়, একই সঙ্গে অমীমাংসিত নদী নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানেও সম্মত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ দুটো। শুধু নদীর পানি নয়, অভিন্ন নদীকেন্দ্রিক সীমান্ত সমস্যার সমাধান করে নদীপাড়ের অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে চায় দুই পক্ষই। দীর্ঘ এক যুগ পর দিল্লিতে হওয়া যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকের পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে বহুল আলোচিত তিস্তায় বড় অগ্রগতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জানতে চাইলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, এক যুগ পর জেআরসি বৈঠকের ফলে ভারতের সঙ্গে পানি আলোচনার বরফ গলেছে। এ বৈঠকের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ এক যুগ পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ে জেআরসি বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিস্তাসহ অন্য নদীগুলোর বিষয়ে আলোচনার কথা উঠে এসেছে। ওই বৈঠকেই তিস্তা পানিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ। এর জবাবে ভারতের তরফে ঢাকাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তারা এই চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য সব রকম চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠক যথেষ্ট বার্তাবহ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ৫৪টি অভিন্ন নদী। এর মধ্যে তিস্তাসহ ছয়টি নদীর পানিবণ্টন এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি প্রায় স্বাক্ষরই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসায় তখন আর চুক্তিটি হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হতে পারে। এর আগে দেশটির ‘নীতি আয়োগ’-এর (পরিকল্পনা কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান) বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর থেকেই তিস্তা চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতির আভাস পাওয়া শুরু হয়।
নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রায় তিন বছর পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি সফরকালে ৬ সেপ্টেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাসহ অর্থ এবং প্রতিরক্ষার মতো বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে সফর সামনে রেখে উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছাবেন। সেদিন দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে বৈঠকের আগে শেখ হাসিনা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। একই দিন বিকালে আজমীর শরিফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির মাজার জিয়ারত করবেন তিনি। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর জয়পুর শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বছরের ২৫ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। এরপর গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ঢাকা সফর করেন। এক বছরের মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। ফিরতি সফর হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি যাচ্ছেন। গত ১৯ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ পরামর্শক কমিশন-জেসিসি বৈঠকে সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এরপর ২৩ জুন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নরেন্দ্র মোদির সফরের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর দিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি। কিন্তু এবার এ বিষয়ে বড় কিছু হতে পারে বলে কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের আগে জেআরসি বৈঠক হওয়ায় আন্দাজ করা যায়, দুই দেশের মধ্যে এক বা একাধিক নদীর পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সফলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও অনেক বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তিস্তা। বাংলাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসবাস তিস্তাপারে। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় রাজনীতিতেও নদীর পানিপ্রবাহের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবু জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নে নদীটির সুযোগ-সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই। এজন্য নদীর উজানে বিশেষ করে সিকিমে একের পর এক বাঁধ দেয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এখন পর্যন্ত তিস্তায় শুধু সিকিম অংশেই বড় আকারের বাঁধ নির্মিত হয়েছে আটটি। এসব বাঁধের কারণে সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমভূমিতে আসতে আসতেই শীর্ণ হয়ে পড়ছে তিস্তা।
এভাবে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে খরা মৌসুমে নদীটির পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে ভয়াবহ আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি ও মৎস্য আহরণ কার্যক্রম। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বাঁধগুলোর ফটক খুলে দিয়ে পানি ছেড়ে দেয়া হয় ভাটির দিকে। এ কারণে প্রতি বছরই বাংলাদেশে তিস্তা অববাহিকায় মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়, যার ভুক্তভোগী হয় রংপুর অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টি ও পাহাড়ি বরফ গলা জলনির্ভর নদী তিস্তায় পানি প্রবাহ সারা বছর সমান থাকে না। নদীটির মোট পানি প্রবাহের ৯০ শতাংশ হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে। বাকি ১০ শতাংশ প্রবাহিত হয় বছরের অন্য আট মাসে। জলপ্রবাহ কমে গিয়ে এ সময়ে শীর্ণ হয়ে ওঠে তিস্তা। এমনকি খরা মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে পানির গড় প্রবাহ সেকেন্ডে ১৪ ঘনমিটারে নেমে আসার নজিরও রয়েছে।
শুরু থেকেই তিস্তার পানিপ্রবাহের ন্যায্য হিস্যা দাবি করে এসেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে অনেকবার আলোচনায় বসলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি সই করতে পারেনি বাংলাদেশ ও ভারত। নদীর পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হলেও এখন পর্যন্ত এটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। সাতচল্লিশের দেশভাগের পর পরই ভারত ও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ও ভারতের মধ্যে ওই সময়ে আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে দরকষাকষির কেন্দ্রে ছিল গঙ্গা (পদ্মা) ও সিন্ধু নদী। ফলে তিস্তা নিয়ে আলোচনায় খুব একটা জোর দেয়া হয়নি। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৬০ সালে চুক্তি হওয়ার পর গঙ্গার পানিবণ্টন দুই সরকারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। কিছু আলোচনা হতে থাকে তিস্তা নিয়েও। ওই সময়ে তিস্তার পূর্ব বাংলা অংশে একটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, যার বিরোধিতা করছিল ভারত। নিজ দেশের সীমানায় সেচ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে অন্য কোনো আন্তঃসীমান্ত নদীতে এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ না করার অনুরোধ জানায় দেশটি। যদিও দারিদ্র্যপীড়িত উত্তরবঙ্গের বাস্তবতা বিবেচনায় এ অনুরোধ মেনে নেয়া সম্ভব ছিল না। ১৯৯০ সালের আগে এ বাঁধের (ডালিয়া) নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা-তিস্তা ও অন্য ৫২টি আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে গঠিত হয় যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উভয় দেশের জনসাধারণের স্বার্থরক্ষাকে উদ্দেশ্য হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হলেও দীর্ঘ সময় ধরে কমিশনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল শুধু গঙ্গার পানি ব্যবস্থাপনাতেই। ১৯৮৩ সালে দুই দেশ নদীটির পানিবণ্টন নিয়ে জেআরসির ২৫তম বৈঠকে এক অ্যাডহক চুক্তিতে সই হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তিস্তার মোট প্রবাহের বাংলাদেশ ও ভারতের অধিকার থাকবে যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৯ শতাংশ। বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে অবণ্টিত, যার ব্যবহার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। এরপরের ১৪ বছর এ অ্যাডহক চুক্তিকে আনুষ্ঠানিক চুক্তিকে পরিণত করার বিষয়ে কোনো ধরনেরই অগ্রগতি দেখা যায়নি। ১৯৯৭ সালে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে গঠিত যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালে প্রথম তিস্তা চুক্তির খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজমান থাকে। এরই মধ্যে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পানিসম্পদ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বেইজিংয়ে একটি বৈঠক বসে। দুই দেশের মধ্যে সে সময় ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহ নিয়ে গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্পর্কে একটি সমঝোতাও সই হয়। দৃশ্যপটে চীনের আকস্মিক আবির্ভাবে শঙ্কিত হয়ে ওঠে নয়াদিল্লি। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আরো দুটি জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যেই ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের হিস্যা ও নদীর প্রতিবেশ সুরক্ষা বাবদ গজলডোবা বাঁধে প্রাপ্ত পানির ২৫ শতাংশ ছাড়তে পারবে কলকাতা। এরপর থেকেই তিস্তা সংকট আরো প্রকট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, মোট পানিপ্রবাহের ৪৮ শতাংশ বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত রাখা হয়। ২০১১ সালে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে চুক্তিটি সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিস্তার পানিপ্রবাহ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি এক ধরনের অচলাবস্থাতেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা চতুর্থ বৃহত্তম। ভারতে সিকিমের একটি হ্রদে উৎপত্তি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নদীটি। নীলফামারীর ডিমলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা হয়ে আবার কুড়িগ্রামের চিলমারীর কাছাকাছি এসে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে নদীটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়