দুদকের মামলা : ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এমডির ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

আগের সংবাদ

এশিয়া কাপে অন্য রকম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় সাকিব

পরের সংবাদ

ফের বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** এবার অজুহাত ডলার সংকটের ** আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমলেও সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা **
মরিয়ম সেঁজুতি : ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রায় সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়ে নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার দোহাই দিয়ে তিন স্তরে ভ্যাট ও শুল্ক সুবিধায় আমদানির সুযোগ নেয়া হয়। সেই একই নীতিতে আরেক দফা ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নিলেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে অজুহাত হিসেবে ডলারের দাম বাড়ার কথা বলা হলেও দেশের বাজারে ডলারের দাম কার্যত কমেছে। এই দফায় প্রতি লিটার সয়াবিনে ৭ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৭৫ টাকায়, যা এর আগে ১৬৬ টাকা নির্ধারিত ছিল। অর্থাৎ খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে বাড়ছে ৯ টাকা। প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৯২ টাকায়, যা এতদিন ১৮৫ টাকা ছিল। অর্থাৎ লিটার বোতলে ক্রেতাকে ৭ টাকা করে বাড়তি গুনতে হবে। ২৫ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হবে ৯৪৫ টাকায়। সেক্ষেত্রে লিটারপ্রতি দাম পড়বে ১৮৯ টাকা। এর আগে প্রতিটি পাঁচ লিটারের ক্যান ৯২০ টাকা মূল্য নির্ধারিত ছিল।
দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমতির দিকে। সর্বশেষ জুলাইয়ে আগের মাস জুনের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশেষ করে গম ও ভোজ্যতেলের দাম কমার কারণেই সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারদর নি¤œমুখী দেখা গেলেও বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব নেই বললেই চলে। একটি পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থামতে না থামতেই আরেক পণ্যের বাড়তি দাম চেপে বসছে ভোক্তার কাঁধে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরি ভোরের কাগজকে বলেন, ডলারের দাম বাড়তি থাকার কারণে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীরা যতখানি বাড়ানো দরকার, তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। আবার ডলার যখন স্বাভাবিক হয় বা বিশ্ববাজারে দাম কমলে, তখন আর কমানো হয় না। দ্বিতীয়ত, বিশ্ববাজারে দাম যে পরিমাণ বাড়ে আমাদের দেশে তার কয়েক গুণ বেশি বাড়ানো হয়। এজন্য এই বাড়তি দাম কতটা যৌক্তিক, তা সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হিসাব করে দেখা উচিত

বলে মনে করেন তিনি।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ সারা বিশ্বে এখন ভোজ্যতেলের দাম নি¤œমুখী। কিন্তু দেশে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের সুযোগ নিতে বসে থাকেন। এবার ডলারের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নেয়া হলো। এতে সাধারণ ভোক্তার কষ্ট আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে দেশে দাম বাড়ানো এবং দাম কমলে দেশেও মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমানো হলেও বাজারে তার সঠিক প্রতিফলন দেখা যায়নি। ভোক্তাদের সব সময় বেশি দাম দিয়েই সয়াবিন ও পাম অয়েল কিনতে হয়েছে। কিন্তু দাম যখন বাড়ে সেটি তাৎক্ষণিক বাজারে কার্যকর হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে বাড়তি দাম দিয়েই সয়াবিন ও পাম অয়েল কিনতে হয়েছে।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর যুক্তিটি সঠিক হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ব্যাংকেও ডলারের ঘাটতি নেই। মুনাফার আশায় খোলা বাজার থেকে ডলার কিনে যারা মজুদ করেছিলেন, তারা এখন কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনছেন। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় সামনের দিনগুলোয় ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে দাম কমে আসবে। এ অবস্থায় ডলারের দাম বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো সঠিক হয়নি বলে মনে করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রহমান গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, এমনিতে এখন ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ মেনে সয়াবিনের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। দাম কমানোর সুফল পায়নি সাধারণ ভোক্তা। কিন্তু এবার বেশি দাম দিয়ে তাদের ভোজ্যতেল কিনতে হবে। তার মতে, ডিজেলের দাম বাড়ার পর অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের অপতৎপরতা আরো বেড়েছে। সম্প্রতি ডিমের দাম নিয়ে এদেশের ব্যবসায়ীরা যা করেছে, তা বিশ্ব বেহায়াকেও হার মানিয়েছে। সরকারি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে ভোজ্যতেল ও ডিমের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সিন্ডিকেট এখন সবখানে সক্রিয়। এদের দমন করতে ব্যর্থ হলে বাজারের সরবরাহ চেইন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে।
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭-৯ টাকা বাড়ার এ সিদ্ধান্ত গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে ডলারের দর বাড়ার কারণে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল মিলমালিকদের এই সংগঠন। দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) দিয়েছে সংগঠনটি। ওই প্রস্তাবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ছে। এ বছর বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ প্রতি লিটার ২০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা স¤প্রতি দুই দফায় ২০ টাকা কমানো হলেও বাজারে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। কিন্তু সংগঠনের পক্ষ থেকে এখন বলা হচ্ছে, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের আমদানিমূল্য বেড়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
সমিতির সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে আমরা লিটারে দাম ২০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু  শেষ পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৯ টাকা ও বোতলের সয়াবিন তেল লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। দাম বাড়ার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সমিতির চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী গত ১৭ আগস্ট আলোচনার পর দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয়া হলো। মঙ্গলবার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়। ফলে বাজারে কিছুদিন ধরে তেলের সংকট ছিল। আর ঘাটতির কারণে আগেভাগে বেড়ে গেছে দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর, হাতিরপুল, মিরপুরের শেওড়াপাড়াসহ অলিগলির দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এরই মধ্যে বাজারে তেলের সংকট হয়েছে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছেন না। খুচরা দোকানদাররা বলছেন, টাকা দিলেও চাহিদামতো সব কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে না।
এদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের হাতে সয়াবিন তেল ও মসুরের ডাল তুলে দিতে চায় রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর অংশ হিসেবে ১ লাখ ২৫ হাজার টন তেল ও ৫ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সংস্থাটি। এই ক্রয়ে ব্যয় হবে ২৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সয়াবিন তেল আনতে খরচ হবে সোয়া দুই কোটি টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এরই মধ্যে ভোজ্যতেল কেনার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে দফায় দফায় দাম বাড়ার পর কয়েক দিন ধরে স্থিতিশীল চালের বাজার। কয়েক দিনে দুই কেজির এক প্যাকেট ময়দায় ১৪ আর আটার দাম বেড়েছে ২৪ টাকা। ৯০ টাকার এক প্যাকেট চিনির দাম হয়েছে ৯৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে, বাজারে এখন এক কেজি সরু চাল কেনা যাচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর মোটা চাল সর্বনি¤œ ৫৫, সর্বোচ্চ ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বিকল্প খাদ্য আটার (খোলা) দামও এক মাসে বেড়েছে ২০ শতাংশ। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্র্যান্ডভেদে গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। কোনো কোম্পানি আবার সর্বোচ্চ খুচরামূল্য না বাড়ালেও ভাগ বসিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীদের লাভের অঙ্কে। একই অবস্থা কাপড় ধোয়ার গুঁড়া সাবানেও। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পরিষ্কারকের দাম। গায়ে মাখা সুগন্ধি ও জীবাণুনাশক সাবানও রয়েছে লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দামের তালিকায়। এক কেজি গুঁড়া মরিচের দাম বেড়েছে ১২০ টাকা আর হলুদ গুঁড়ায় বেড়েছে ৬০ টাকা। এ অবস্থায় তেল-চালের পাশাপাশি এসব পণ্যের দাম বাড়ার কারণও সরকারি সংস্থাগুলোকে খতিয়ে দেখার দাবি ভোক্তাদের।
এদিকে সোমবার ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজার ও মূল্য পরিস্থিতির বিষয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান এফবিসিসিআই নেতারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ট্যারিফ কমিশনের চিঠি : সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন জানায়, আমদানি করা পণ্যের দাম পরিশোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মার্কিন ডলার। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ডলারের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় আমদানি পণ্যের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ে। এর সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করেন। ফলে ভোক্তারা এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না। ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন জানায়, বাজারে তিনটি পণ্য যেমন চিনি, পেঁয়াজ ও মসুর ডাল চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত বা বেশি আছে। তারপরও বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ডলার সংকট ও ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা লাভের মনোভাবকে দেশের বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন।
সংস্থাটি বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণনে পরিবেশক নিয়োগের সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয় অনুসারে প্যাকেটজাত চিনি ও ডালের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে। প্রয়োজনে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে বলে মনে করে কমিশন। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়