ব্যবসায়ীদের জরিমানা

আগের সংবাদ

নাগালের বাইরে ওষুধের দামও

পরের সংবাদ

এশিয়া কাপে অন্য রকম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় সাকিব

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২২ , ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এশিয়া কাপে এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অন্যরকম এক সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩০ আগস্ট। ওই ম্যাচটিতে খেলতে নামলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হয়ে যাবে সাকিবের। কারণ ম্যাচটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারের ১০০তম টি-টোয়েন্টি। বিশ্ব ক্রিকেটের ১৫তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন সাকিব।
এছাড়া এশিয়া কাপ খেলতে ইতোমধ্যে দুবাই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও পেসার তাসকিন আহমেদ দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। ভিসা জটিলতায় তাদের ঢাকা ছাড়তে বিলম্ব হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সেখানে নেটে বোলিংয়ের জন্য তাকে উড়িয়ে নিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে গত পরশু অন্য টাইগার ক্রিকেটারদের বিমানের ফ্লাইট শিডিউল ঠিক ছিল। তাই লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যথাসময়েই দুবাই পৌঁছে হোটেলে চেকইন করেছে। সেখানে প্রথম ৪ দিন অনুশীলন ক্যাম্প করবে টাইগাররা। সব মিলয়ে দুবাইতে বেশ উচ্ছ¡সিত আছেন সাকিব -মুশফিকরা।
সেখানে পৌঁছে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে টাইগাররা। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা জিমে নিজেদের প্রস্তুত করেন।
এদিকে আরব আমিরাতেই গত এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেবারের আসর ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপও ২০ ওভারের সংস্করণে। এই ফরম্যাটে দিনের পর দিন অন্ধকারে জয়ের জন্য হাতড়ে ফিরছে টাইগাররা। এবার ব্যর্থতার খোলস ভেঙে বের হতে চায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে শারজায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচের প্রায় ৭ দিন আগে আরব আমিরাতে যাওয়ার কারণ কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়া। এবারের এশিয়া কাপ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের প্রমাণের জন্য। দুজনই ছন্দে ফিরতে মরিয়া হয়ে আছেন। তাছাড়া মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাকিবের কাঁধে। তার ছোঁয়ায় সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে নিজের শততম ম্যাচটি জিততে মরিয়া হয়ে আছেন সাকিব। এখন পর্যন্ত ৯৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩.১০ গড়ে ২ হাজার ১০ রান করেছেন তিনি। এতে তার নামের পাশে ১০টি হাফসেঞ্চুরি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও উজ্জ্বল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি শিকার করেছন ১২১টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট। এই ফরম্যাটে ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। এখন পর্যন্ত ১৩২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক এখন পর্যন্ত ১২৪টি ম্যাচ খেলেছেন এবং নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ১২১ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এরপর বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১১৯টি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের হয়ে তিনিই সর্বোচ্চ খেলেছেন। এছাড়া মুশফিকও খেলেছেন ১০০টি ম্যাচ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এবার শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।
টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে দুবাই এবং শারজাহতে। দুই গ্রুপ থেকে দুটি করে দল খেলবে দ্বিতীয় পর্বে। দ্বিতীয় পর্বে দলগুলো একে অন্যের সঙ্গে খেলবে। গ্রুপ পর্বে ৬টি ম্যাচ থাকবে আর দ্বিতীয় পর্বেও থাকবে ৬টি। দ্বিতীয় পর্বের নাম দেয়া হয়েছে সুপার-৪। এই পর্বের শীর্ষ দুই দল ১১ সেপ্টেম্বর রোববার ফাইনালে দুবাইতে মুখোমুখি হবে।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি ৫ বার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। তারা ১৯৮৮, ২০০০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ সালে জমজমাট এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। এর আগে সর্ব প্রথম এশিয়া কাপ আয়োজিত হয় ১৯৮৪ সালে আরব আমিরাতে।
সেবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ৩ দল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। তবে ওই এশিয়া কাপে কোনো ফাইনাল ছিল না। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে ভারত তাদের দুটি ম্যাচই জিতলে চ্যাম্পিয়ন বলে গণ্য হয়। এছাড়া ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে বসে এশিয়া কাপের চতুর্থ আসর। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সঙ্গে ছিল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
রাউন্ড রবিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা মাত্র অল আউট হয় ১৭৬ রানে। জবাবে ভারত ৬ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ নিজদের ঘরে তোলে। এরপর ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আসর বসে বাংলাদেশে। সেই সময়ও অংশ নেয় ৪ দল বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এই আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে ভারত। পরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা খেলে ফাইনালে।
৩৯ রানের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০১২ সালে তৃতীয়বার এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ। সেই সময় প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ২৩৬ রানের জবাবে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে মাত্র ২ রানে হেরে কাপ বঞ্চিত হয় টাইগাররা। ২০১৪ সালে চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপের আসর বসে বাংলাদেশে। তবে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। আর ফাইনালে পাকিস্তান ২৬০ রান করলে তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
এরপর ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের পঞ্চম আসর আয়োজন করে বাংলাদেশে। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এবারো ফাইনালে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টিবিঘিœত ফাইনাল ম্যাচ হয় ১৫ ওভারে। বাংলাদেশ ১২০ রান করলে ভারত ৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়