যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

অবমূল্যায়ন ঠেকাতে ব্যাংকগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে : ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্নর

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া পদক্ষেপগুলোর সঠিক মনিটরিং দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয়ই মনিটরিং করছে, তবে আরো বেশি মনিটরিংয়ের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাড়ছে, বাড়ছে রপ্তানিও। এরপরেও ডলার সংকট দুঃখজনক। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার পক্ষে এসব দেখা সম্ভব নয়। এখানে বাংলাদেশ

ব্যাংকের পদক্ষেপের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন যাতে না হয় তা দেখার দায়িত্ব রয়েছে তাদের। এ ছাড়া এফডিআর বাড়াতে হবে। এটা না হলে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লো বা অর্থনৈতিক প্রবাহ’ বাড়ানো কঠিন হবে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পণ্যের বহুমাত্রিকতা বাড়ানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্প্রতি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা খুবই প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশের টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে যারা ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে কাজ করেন তাদের কয়েকজন ব্যক্তিকে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন পদক্ষেপ; এটার প্রয়োজন ছিল। ব্যাংকগুলোর যারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
ছয়জনকে বরখাস্ত করাই যথেষ্ট নয় জানিয়ে সাবেক এ গভর্নর আরো বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, উপরের নির্দেশে বিশেষ করে পরিচালকদের নির্দেশে বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তারা (ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তা) মুনাফা করার জন্য এগুলো করে থাকেন। শুধু ফরেন এক্সচেঞ্জের বেলায় না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা এটা করে থাকেন। অতএব সেখানে ব্যাংকগুলোর পর্ষদেরও দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতার জায়গা রয়েছে। এজন্য আমি মনে করি, ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট এবং পরিচালক তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সার্বিকভাবে ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, দেখা গেছে এর আগে কোনো কোনো ব্যাংকের এমডিকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। এটা ব্যাংকগুলোকে একটা কঠোর বার্তা দেবে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মনিটরিং করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়