কিউআর কোডযুক্ত : ২ লাখ রিকশার নিবন্ধন দেবে ডিএনসিসি

আগের সংবাদ

সড়কে যেন অনিয়মই নিয়ম : মালিক-শ্রমিকদের বাধায় আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি

পরের সংবাদ

গ্রামীণ টেলিকম : অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ অন্য কোথাও পাচার হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী ইউসুফ আলীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, রবিউল আলম বুদু, সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অন্যদিকে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে শ্রমিকদের টাকা দিয়েছে ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের মামলা জিততে লবিস্টও নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে দুর্নীতিবাজরা প্রশ্রয় পাবে।
আদেশের পর ইউসুফ আলীর আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম মেনেই ট্রেড ইউনিয়নে টাকা দেয়া হয়েছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা ফি নেয়ার কথা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জানান ইউসুফ আলীর আইনজীবী। এতে বলা হয়, অবশিষ্ট ১০ কোটি টাকা রয়েছে ট্রেড ইউনিয়নের কাছে।
বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাবেক ১৪ কর্মী। পরে বকেয়া পরিশোধ চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্মীরা। ফলে

ঢাকার শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ১০৭টি মামলা দায়ের হয়। এরই একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিসের মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকমের ১০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ টেলিকম ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিসের মাধ্যমে এই ছাঁটাই করা হয়। ওই নোটিসের বিরুদ্ধে আবেদন করা হলে ওই ১০০ কর্মীকে নিয়োগ দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরই মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক- কর্মচারী ইউনিয়ন। যার ধারাবাহিকতায় পাওনা পরিশোধ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে গ্রামীণ টেলিকম। কিন্তু পাওনা পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হচ্ছে।
গত ৩০ জুন গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাছ থেকে আইনজীবী কত টাকা ফি নিয়েছেন তা জানতে চান হাইকোর্ট। এ ছাড়া শ্রমিকারাও কত টাকা বকেয়া পেয়েছেন তার তথ্য দাখিলের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত নথিও তলব করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার ইউসুফ আলীর পক্ষে হাইকোর্টে প্রতিবেদন আকারে ফি বাবদ নেয়া টাকার তথ্য আদালতে দাখিল করেন তার আইনজীবীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়