কিউআর কোডযুক্ত : ২ লাখ রিকশার নিবন্ধন দেবে ডিএনসিসি

আগের সংবাদ

সড়কে যেন অনিয়মই নিয়ম : মালিক-শ্রমিকদের বাধায় আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি

পরের সংবাদ

কামরাঙ্গীরচরে হবে ৫০ তলাবিশিষ্ট ভবন : ডিএসসিসির ৬ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে বাজেট ঘোষণা করেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মেয়র পদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গত দুই অর্থবছরের বাজেটও ঘোষণা করেছেন তিনি। এটি তার তৃতীয় বাজেট ঘোষণা। এর আগে গত ২৬ জুলাই দ্বিতীয় পরিষদের পঞ্চদশ করপোরেশন সভায় বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেয়া হয় সভায়। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ, প্যানেল মেয়র শহীদ উল্লাহ মিনু, অর্থ ও সংস্থাপনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিমসহ কাউন্সিলর, বিভাগীয়প্রধান এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন দুর্নীতি মুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি সেক্টরে আমাদের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে কয়েকগুণ। ঢাকায় এখন কোনো জলাবদ্ধতা নেই। বৃষ্টি হলে গণমাধ্যমের বন্ধুরা জলাবদ্ধতা খুঁজে বেড়ান। তারা সহজে জলাবদ্ধতা দেখতে পান? না। আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে।
এবারের বাজেটে আয় অংশের প্রারম্ভিক স্থিতি ধরা হয়েছে ৫৯৩ কোটি ৬৯ লাখ, রাজস্ব আয় ১ হাজার ২০৮ কোটি ৭০ লাখ, অন্যান্য আয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৮০ লাখ, সরকারি থোক ও বিশেষ বরাদ্দ ৬৫ কোটি এবং মোট সরকারি ও বৈদেশিক উৎস থেকে আয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮১৬ কোটি ৯ লাখ টাকা।
ডিএসিসিসূত্রে জানা গেছে, গত করপোরেশন সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অথচ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ হাজার ৭৩১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায়

২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৪১ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করল সংস্থাটি।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই কাজ শুরু হবে। এই বাণিজ্যিক অঞ্চল ঘিরে ৫০ তলাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের একটি সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণ করব। ভবনটিতে ৫ তারকা হোটেলসহ বিশ্বমানের বিপণি বিতানসহ অন্যান্য সুবিধা রাখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশু পার্কটির নামকরণ আমরা করব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় শিশুপার্ক। পার্কটি নির্মাণের কাজ দীর্ঘসূত্রতায় পরে গিয়েছিল। তবে এখন এটার সমাধান হয়েছে। শিশুপার্কটির কাজ করতে গিয়ে তিনটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পড়েছিল প্রকল্পটি। এসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা বারবার বসেছি, বৈঠক করেছি। এখন সব ঠিক হয়েছে। আমরা চলতি বছরে দরপত্রের কাজ শেষ করে এরপর সার্বিক কাজ শুরু করব। তবে শিশু পার্কটির কাজ শেষ হতে আরো দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে।
এর আগে মেয়র তাপস বলেন, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে বিগত ২ বছরে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষীবাজার খেলার মাঠ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিকাটুলি খেলার মাঠ, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগঞ্জ খেলার মাঠের উন্নয়নের পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বকশিবাজার খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠটি দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়েছিল। আমরা ধূপখোলা খেলার মাঠের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি ফুটবল মাঠ, মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে শিশুদের খেলার জন্য আলাদা স্থান এবং একটি বাস্কেটবল মাঠ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া নাম ‘মুক্তাঙ্গন’ হলেও দখলদারদের কবল হতে মুক্তি মেলেনি জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নানা ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী হয়ে থাকা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উন্মুক্ত স্থানটি। আমরা সেখানে সব ধরনের দখলদারত্বের অবসান ঘটিয়ে বাস্কেটবল মাঠসহ আরো বেশ কিছু অনুষঙ্গে উন্মুক্ত স্থানটিকে মুক্তভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়