কিউআর কোডযুক্ত : ২ লাখ রিকশার নিবন্ধন দেবে ডিএনসিসি

আগের সংবাদ

সড়কে যেন অনিয়মই নিয়ম : মালিক-শ্রমিকদের বাধায় আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি

পরের সংবাদ

কানাডায় যাতায়াতে বিমানের তেল খরচ আড়াই কোটি টাকা

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স¤প্রতি বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-কানাডা ফ্লাইট শুরু হয়েছে। দেশ থেকে উড্ডয়নের পর ফ্লাইটটি যাত্রাবিরতি নেয় ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সরাসরি যায় কানাডার রাজধানী টরন্টো। ফিরতি পথে কোনো যাত্রাবিরতি ছাড়াই সরাসরি দেশে ফেরে ওই ফ্লাইট। এই আসা-যাওয়ায় বিমানের খরচ হয় ১৯৫ টন জেট ফুয়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলার বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিমানের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে জেট ফুয়েলের প্রতি লিটারের দাম ১৩০ টাকা। বাংলাদেশ থেকে টরন্টো যেতে বিমানের তেল খরচ হয় ১০৫ টন বা ১ লাখ ৫ হাজার লিটার। এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে টরন্টো থেকে ফিরতে বিমান খরচ করে ৮৫ থেকে ৯০ টন তেল। সে হিসেবে এতে খরচ হয় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ফলে আসা-যাওয়ায় বিমানের জ¦ালানি খরচ হয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার।
বিমানের টরন্টো ফ্লাইট কতটা লাভজনক? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বিমানের এমডি বলেন, এ পর্যন্ত টরন্টো ফ্লাইটে যত যাত্রী পেয়েছি তা আশাপ্রদ। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ফ্লাইটে ২৫০টির বেশি সিট বুকিং হয়েছে। পাশাপাশি এই রুটে কার্গো পরিবহন করছি। তিনি আরো বলেন, গত ফ্লাইটে আমরা ১০ টনের মতো কার্গো পরিবহন করেছি। কার্গো থেকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছি। আমরা যদি বিজনেস ক্লাস যাত্রী ও কার্গো বহন বাড়াতে পারি তাহলে এই রুট লাভজনক হবে। এছাড়া বর্তমানে আমরা ভারত ও নেপালের মতো দেশের ৭০-৮০ জন রিজিওনাল যাত্রী পাচ্ছি। এটাও ভালো দিক।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ও বিদেশের সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উঠার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা বিদেশি ও প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ব্যবহার করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন দেশে গন্তব্য থাকে যেখানে বিমানের ফ্লাইট নেই। সেখানে তারা অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যান। আর দেশীয় সফরের ক্ষেত্রে তারা যদি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ব্যবহার করেন, তাহলে তো আমরা কিছু বলতে পারি না।
বিমানের পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে এমডি বলেন, এটা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আমরা সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গেও কথা বলছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়